উত্তর গাজা না ছাড়লে হামাসের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করার হুমকি

গাজা সীমান্তে হাউইটজার কামান সহ নানা অত্যাধুনিক ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স
গাজা সীমান্তে হাউইটজার কামান সহ নানা অত্যাধুনিক ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাদের নতুন করে উত্তর গাজা থেকে উপত্যকার দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বলেছে। এই নির্দেশ যারা মানবেন না, তাদের হামাসের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করার হুমকিও দিয়েছে তারা।

আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল শনিবার থেকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নামে উত্তর গাজা ছেড়ে যেতে এমন নির্দেশনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া গাজার বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনে একই বার্তা অডিও মেসেজের মাধ্যমেও পাঠানো হয়েছে।

লিফলেটে বলা হয়, 'এটা গাজার বাসিন্দাদের প্রতি একটি জরুরি বার্তা। আপনারা গাজার উত্তর অংশে অবস্থান করতে থাকলে আপনাদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। যারা উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে যাবে না, তাদেরকে হামাসের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হতে পারে।'

গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখ।

ইসরায়েল বলছে, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৯ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬৩ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য।

ইতোমধ্যে গাজা সীমান্তে সেনা ও ট্যাংক মোতায়েন করে স্থল হামলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল এর আগেও বেশ কয়েকবার ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনিরা দাবি করেছেন, এর আগে তাদের এমনটি কখনো বলা হয়নি যে, যদি তারা না সরে যান তাহলে তাদের হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল বা সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

তারা আরও জানান, দক্ষিণে যাত্রার বিষয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, বিমান হামলা এখনো চলছে।

যেসব পরিবার ইতোমধ্যে উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে এসেছেন তারা জানিয়েছেন, অনেকে এখানে এসেও ইসরায়েলের বিমান হামলায় পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

16h ago