আজ সানগ্লাস দিবস

সানগ্লাস, বিচিত্র দিবস, বিচিত্র, যুক্তরাষ্ট্র,
ছবি: সাজ্জাদ ইবনে সাঈত/স্টার

সানগ্লাস বা রোদচশমার সুবিধা কিন্তু কম না। এই যেমন ফ্যাশন অনুসঙ্গ হিসেবে পরা যায়, আবার রোদ থেকে চোখ রক্ষা করতে পরা যায়। কমবেশি প্রায় সবাই সানগ্লাস পরেন। কেউ আবার শখ করেও পরেন। তবে, যে যেভাবেই বা যে কারণেই পরুক না কেন স্টাইল অনুসঙ্গ হিসেবে সানগ্লাসের জুড়ি নেই।

আমাদের অনেকের বাসায় একাধিক সানগ্লাস বা রোদচশমা থাকে। কিন্তু, জানেন কি সানগ্লাস নিয়ে একটি দিবস আছে? যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছরের ২৭ জুন সানগ্লাস দিবস উদযাপন করা হয়। তাই চাইলে আপনি আজ সানগ্লাস পরতে পারেন। তাতে ফ্যাশন হলো, আবার দিবসটিও উদযাপন করা হলো।

অনেকের ধারণা, সানগ্লাস মোটামুটি আধুনিক উদ্ভাবন। কিন্তু, এই তথ্য সঠিক নয়। সানগ্লাসের ইতিহাস চতুর্দশ শতাব্দীর চীন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। প্রচলিত আছে, তখন বিচারকরা মামলা শোনার সময় আবেগ ঢাকতে হালকা কালো রঙের চশমা ব্যবহার করতেন। আর উনিশ শতকের শেষের দিকে চিকিত্সকরা চশমার ওপর বাদামি রঙের লেন্স নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন, বিশেষত করে যাদের সিফিলিস ছিল তাদের ওপর। কারণ, এই রোগটির একটি লক্ষণ হলো আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা।

১৯২৯ সালে সানগ্লাস প্রথম বাজারজাত করা হয়। তখন এগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করা হতো। ফলে, সাধারণ মানুষ সেগুলো ব্যবহার করতে শুরু করে। তারপর এটি স্টাইলে পরিণত হয় এবং ফ্যাশন অনুসঙ্গ হিসেকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

ভিশন কাউন্সিল নামের একটি প্রতিষ্ঠান সানগ্লাস দিবসের প্রচলন করে। একটি মূলত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তারা মানুষের চোখের যত্ন নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে দিবসটির প্রচলন করে।

যারা অনেকদিন ধরে সানগ্লাস কেনার পরিকল্পনা করছেন, তারা আজ সানগ্লাস কিনে ফেলতে পারেন। যেহেতু আজ সানগ্লাস দিবস, তাই এটি একটি ভালো সুযোগ। তারপর সেই সানগ্লাস পরে সেলফি তুলে সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করতে পারেন। ব্যস, দিবসটি উদযাপন করা হয়ে গেলো।

Comments