আজ ফ্রেঞ্চ টোস্ট দিবস
আজ ব্রেকফাস্টে কী বানাবেন তা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। কারণ, আজ ২৮ নভেম্বর ফ্রেঞ্চ টোস্ট দিবস। আর ফ্রেঞ্চ টোস্ট হলো- একটি পুরু, মিষ্টি, সুস্বাদু খাবার। এর চেয়ে ব্রেকফাস্টে ভালো খাবার আর কী বা হতে পারে!
তবে, ফ্রেঞ্চ টোস্ট দিবসের কীভাবে প্রচলন হলো বা কে প্রচলন করলো তা নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। এটা জেনে নিতে পারেন- ফ্রেঞ্চ টোস্টকে ফ্রান্সে 'লস্ট ব্রেড' বা 'পেইন পেঁদরু' বলা হয়। ফরাসি তথ্য অনুযায়ী, খাবারের অপচয় না করার আকাঙ্ক্ষা থেকেই ফ্রেঞ্চ টোস্ট খাবারের জন্ম।
বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা একমত যে, ফ্রেঞ্চ টোস্ট প্রাচীন রোম থেকে এসেছে। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর এপিসিয়াসের বইয়ে অনুরূপ একটি রেসিপি পাওয়া যায়। রোমানরা পাউরুটির টুকরো ভাজার আগে দুধে (কখনো কখনো ডিমে) ডুবিয়ে নিত। এটিকে 'প্যান ডুলসিস' বলে অভিহিত করা হয়েছে।
১৪০০ দশকে হেনরি ভি'র কোর্টে অনুরূপ রেসিপি পাওয়া যায়, যা অনেককে আকৃষ্ট করেছিল। তবুও, সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত ইংল্যান্ডে 'ফ্রেঞ্চ টোস্ট' শব্দটি আবির্ভূত হয়নি। খাদ্য ইতিহাসবিদরা বিশ্বাস করেন, 'ফ্রেঞ্চ' শব্দটি ফ্রান্সকে বোঝায় না। এর পরিবর্তে 'ফেঞ্চ' ওল্ড আইরিশ ভাষায় 'টুকরো করা' বোঝায়। সুতরাং, 'ফ্রেঞ্চ টোস্ট' হলো আসলে 'টুকরো করে কাটা' টোস্ট। ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ভ্রমণকারী আইরিশরা এই শব্দটির প্রচলন করেন।
১৮৭১ সালে আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রিঙ্কের এনসাইক্লোপিডিয়ায় 'ফ্রেঞ্চ টোস্ট' শব্দটি প্রথম প্রকাশিত হয়। যাইহোক, একই ধরনের রেসিপিগুলো 'এগ টোস্ট', 'স্প্যানিশ টোস্ট' ও এমনকি 'জার্মান টোস্ট' নামেও পরিচিত। ভারতে একে 'বোম্বে টোস্ট' বলা হয়।
Comments