ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে সোনা নিখোঁজে আতঙ্কে গ্রাহকরা

বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের চকবাজার শাখা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি লকার থেকে ১৪৯ ভরি সোনা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় লকার হোল্ডারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার সকাল থেকেই লকার হোল্ডাররা ব্যাংকে গিয়ে তাদের লকারে থাকা জিনিসপত্র চেক করেন। কিছু গ্রাহক তাদের জিনিসপত্র নিয়ে লকার বন্ধ করে দেন বলেও জানা গেছে।

অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে তিন সদস্যের একটি দল শাখা অফিস পরিদর্শন করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ, লগবুক, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অন্যান্য নথি সংগ্রহ করে তাদের তদন্ত শুরু করেছে।

লকার থেকে ১৪৯ ভরি সোনার গয়না না পাওয়ার বিষয়ে গত ২৯ মে অভিযোগ করেন গ্রাহক রোকেয়া বারী। তবে এখন পর্যন্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা বা গ্রাহক কেউই এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। ২০০৭ সাল থেকে লকার সুবিধা ব্যবহার করছেন রোকেয়া।

চকবাজার শাখা ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শফিকুল মাওলা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তদন্তের পর অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে গ্রাহককে বিমা নীতি অনুযায়ী দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।'

কোটি টাকা মূল্যের সোনার বিপরীতে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে লকারে থাকা জিনিসের বিষয়ে কোনো তথ্য থাকে না। নতুন লকার খোলার সময় আমরা গ্রাহকের কাছ থেকে একটি ঘোষণাপত্র গ্রহণ করি, যাতে তিনি কোনো আগ্নেয়াস্ত্র বা অবৈধ জিনিসপত্র সংরক্ষণ না করতে পারেন। ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ও আইন মেনে তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।'

সোনা গায়েব হওয়ার খবর জানার পর গ্রাহক, অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ও সাংবাদিকরা আজ সকাল ১০টা থেকে ব্যাংকের ওই শাখায় ভিড় করেন।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, ব্যাংকে প্রায় ১৫০টি লকার রয়েছে (বড়, মাঝারি, ছোট)। প্রায় ৪৫টি লকার এখন খালি।

শফিকুল মাওলা বলেন, 'আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছি। গ্রাহক রোকেয়া বারী প্রথমে লকারে প্রবেশ করেছেন। পরে তিনি আমাদের অফিসারকে জানান যে, তার লকার খোলা পাওয়া গেছে এবং সেখান থেকে তার সোনার গয়না নিখোঁজ। আমরা জানি না ঠিক কী ঘটেছে সেখানে। কারণ লকার রুমের ভেতরে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই।'

'আমাদের ব্যাংকে কোনো নিরাপত্তা ঘাটতি নেই এবং আমাদের লকার সুবিধা নিরাপদ', বলেন ব্যবস্থাপক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লকার হোল্ডার ডেইলি স্টারকে জানান, ওই খবর শুনে আজ তিনি গিয়ে লকার থেকে তার প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে যান।

ব্যবস্থাপক শফিকুল মাওলা বলেন, লকার হোল্ডাররা এসে তাদের জিনিসপত্র চেক করেছেন এবং সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে ঘটনার পর কোনো গ্রাহক তাদের লকার বন্ধ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

3h ago