মজুরি বাড়ানোর দাবিতে চট্টগ্রাম ইপিজেডে শ্রমিক বিক্ষোভ
প্রত্যাশা অনুযায়ী মজুরি না বাড়ায় চট্টগ্রাম ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ করছেন।
শ্রমিকদের দাবি, ইপিজেড মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মজুরি না বাড়ানোয় তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
ইপিজেড কর্তৃপক্ষ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকদের তারা বুঝিয়ে কাজে ফিরিয়েছেন, বাকিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ৮টার দিকে ডেনিম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের সাতটি কারখানা এবং যে যে মিলস লিমিটেডের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার বাইরের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন।
প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তানভীর আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নতুন ঘোষিত মজুরি কাঠামো অনুযায়ী তারা প্রত্যেক ক্যাটাগরির শ্রমিককে বাড়তি মজুরি গতকাল পরিশোধ করা হয়েছে। তবে বিদেশি মালিকানাধীন ইয়ং ওয়ান গ্রুপের কারখানা শ্রমিকদের মজুরি বোর্ডের ঘোষণার চাইতেও বেশি মজুরি দেওয়া হয়েছে এমন অজুহাতে তাদের শ্রমিকরাও বাড়তি মজুরি দাবি করছিল।
তানভীরের দাবি, তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে বলেছেন এবং তারা আশ্বস্ত হয়ে সাতটি কারখানাতেই কাজে যোগ দিয়েছেন। পরে জে জে লিমিটেডের শ্রমিকরা প্যাসিফিক গ্রুপের কারখানার সামনে এসে স্লোগান দিতে থাকে এবং কয়েক দফা পাথরও নিক্ষেপ করে।
তিনি বলেন, এতে তাদের কারখানার শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বাইরে গিয়ে ওই বহিরাগত শ্রমিকদের ধাওয়া দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে কয়েকশ শ্রমিক চট্টগ্রাম ইপিজেড প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুস সোবহান ডেইলি স্টারকে বলেন, গতকালই নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী প্রায় ৭৫ শতাংশ কারখানায় ডিসেম্বর মাসের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি কারখানাগুলোতে আজ মজুরি পরিশোধ করার কথা রয়েছে।
তিনি স্বীকার করেন, নতুন মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। তাদের প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি মজুরি বৃদ্ধির। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে।
তিনি বলেন সকালে প্যাসিফিক জিন্স সহ দুটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছিল এবং কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা কাজে ফিরে যান।
দুপুর দেড়টার দিকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এখনো কিছু কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন বলে তিনি শুনেছেন। তাদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।
Comments