জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট শিগগির প্রত্যাহার: আইনজীবী শিশির মনির

Jamaat e Islam logo
ছবি: সংগৃহীত

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ রাজনৈতিক দলটির অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা গেজেট প্রজ্ঞাপনটি শিগগির প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আজ সোমবার অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, 'সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। আইনি বিধানগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আইন অনুযায়ী সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিন সদস্যদের একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে। আমাদের জানা মতে, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাতিল করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন গেজেট প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে।'

তিনি জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারায় জামায়াত, শিবির ও দলটির সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে গত ১ আগস্ট প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়।

শিশির মনির বলেন, '৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়। ওইদিন সেনাপ্রধানের কার্যালয় ও বঙ্গভবনে রাজনৈতিক দলের বৈঠক হয়। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গঠনেও জামায়াত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।'

তিনি বলেন, '১২ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখে অবিলম্বে বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।'

এই আইনজীবী বলেন, 'নতুন গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন মামলা পুনরায় শুনানির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আশা করি, সুপ্রিম কোর্ট থেকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago