বিএনপিকে ধ্বংস করতে খালেদা জিয়াকে টার্গেট করা হয়েছে: মঈন খান

‘তারা হয়তো ভেবেছিল, বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে দিলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
বিএনপিকে ধ্বংস করতে খালেদা জিয়াকে টার্গেট করা হয়েছে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিএনপিকে ধ্বংস করতে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে টার্গেট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মোস্তফার বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, 'এটা তো স্পষ্ট আজকে, সরকার একটি ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করতে চায়, এখানে যেন সরকারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ না খোলে। এটা কী ধরনের সরকার? বাংলাদেশ কী কারণে সৃষ্টি হলো, কোথায় গণতন্ত্র, কোথায় সুশাসন, কোথায় মানবাধিকার, কোথায় ভোটের অধিকার, কোথায় শিক্ষার অধিকার?'

আওয়ামী লীগ বলেছে, বিএনপি সব কিছু হারিয়ে ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে—এ প্রসঙ্গে মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সরকার সব কথাই বলতে পারে। আমি বলবো, সরকারের কথা সম্পূর্ণ ঠিক না হলেও অনেকটা ঠিক। সরকার বুঝতে পারেনি, আমরা একটি জিনিস পেয়েছি, আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি এবং এটাই আমাদের কাম্য।

'মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে, তাদের ওপর জুলুম করে, অত্যাচার করে, লগি-বৈঠার রাজনীতি বিএনপি করে না। আমরা রাজনীতি করি মানুষকে সেবা করার জন্য। মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য। আমরা মানুষকে আহ্বান জানিয়েছিলাম যে, আপনারা এই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করুন। এটা সারা বিশ্বে আজকে স্বীকৃত হয়েছে যে, বাংলাদেশের সকল মানুষ, সকল ভোটার এই প্রহসনের নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে,' বলেন তিনি।

সরকার সারা দেশকে টেররাইজড করে ফেলেছে অভিযোগ করে মঈন খান বলেন, 'আমাদের মহাসচিব থেকে শুরু করে স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং তার পরবর্তী নেতাদের সবাইকে তারা জেলে নিয়ে গেছে। এটা হচ্ছে একটি দিক। এটা করেই কিন্তু সরকার ক্ষান্ত হয়নি। তারা যে রাজনীতি করছে সেটার উদ্দেশ্য আজকে স্পষ্ট হয়ে গেছে; মানুষের মনে ত্রাস সৃষ্টি করে দেওয়া। তারা যেন এই সরকারের বিরুদ্ধে মুখটি পর্যন্ত না খোলে। সরকার জুলুম করবে, যা কিছু করবে সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে। এটা তো কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে হতে পারে না। এটা হতে পারে নর্থ কোরিয়া, কম্বোডিয়া, জিম্বাবুয়েতে হতে পারে। এ রকম আরও অনেক উদাহরণ আমরা দিতে পারি।'

তিনি বলেন, 'এসব দেশে যারা এটা করেছে, তারা শুধু নিজের দেশে নয়, সারা বিশ্বের মানুষের ঘৃণাই পেয়েছে। তাদের প্রশংসা এই পদ্ধতিতে কোনো সরকার আজ পর্যন্ত কুড়াতে পারেনি। পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, একদিন না একদিন তাদের বিদায় নিতেই হবে।'

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'নির্বাচনী খেলা খেলে আজকে সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। প্রথমে তারা ভেবেছিল, বিএনপিকে এভাবে তারা ধ্বংস করে দেবে। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত তারা চেষ্টা করেও; জেল-জুলুম-নির্যাতন, পুলিশের হামলা, ডিবি-এসবি...কোনো কিছু তো বাদ রাখেনি! তার পরেও যখন দেখল তারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারছে না, তখন কয়েক বছর আছে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে টার্গেট করল। তারা হয়তো ভেবেছিল, বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে দিলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু তাদের সেই আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে।'

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের পরিণতির জন্য মানসিক ও কারাগারে দৈহিক নির্যাতন দায়ী বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago