তলে তলে আসলে কিছুই হয়নি: ফখরুল

তলে তলে আসলে কিছুই হয়নি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

তলে তলে আসলে কিছুই হয়নি, সেই কারণে আওয়ামী লীগ বারবার এই কথাটা বলে—মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

ফখরুল বলেন, 'এই সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। এদেরকে সরকার বলা যায় না, এরা শাসক। তার প্রমাণ এদের কথার মধ্যে দেখবেন; বিএনপি একটি দল, যে দলটি সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। তিন বার ক্ষমতায় ছিল—তারা ঘোষণা দেয়, বিএনপি আমাদের শত্রু। অর্থাৎ তারা গণতন্ত্রেই বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে কোনো রাজনৈতিক দলকে তারা শত্রু বলতে পারে না।'

তিনি বলেন, 'তারা যে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এ কথা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আইনের শাসনেও বিশ্বাস করে না তারা। গতকাল নরসিংদীর দুই ছাত্রনেতাকে কমান্ডো কায়দায়, সম্পূর্ণ আইন-কানুনকে না মেনে—ভঙ্গ করে তারা গ্রেপ্তার করেছে।

'আবারও বলে, বলতে তারা খুব আনন্দ পায়। সেটাকে আবার পরে বলে রাজনৈতিক রসবোধ! তলে তলে নাকি সব আবার হয়ে গেছে। বারবার এ কথাটা কেন বলে? এ জন্যই বলে, আসলে কিছুই হয়নি। গোটা বিশ্বের গণতান্ত্রিক বিশ্ব আজকে তাদের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য পরিষ্কার করে বলছে এবং একটি সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন করতে বলছে,' বলেন ফখরুল।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আর গণতন্ত্রের মুক্তি একই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমাদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সামনের দিনগুলোতে।

'সামনে পূজা আছে, আমরা সব সময় বলেছি, আমরা সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ অসাম্প্রায়িদক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই না, ওই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তারা আবার সেই সমস্যার তৈরি করবে। ইতোমধ্যে করেছে দেখেছেন। গতকাল কুমিল্লাতে তারা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে, তারপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়ে তাদের আহত করেছে। সেখানকার এমপি কী বলেছে আপনারা জানেন,' নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন ফখরুল।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

16h ago