‘আমি আর ডামি’র নির্বাচন দেশকে সংকটের দিকে নিয়ে যাবে: রুহিন হোসেন প্রিন্স

মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বাম জোটের নেতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, 'সরকার একতরফাভাবে আগামী ৭ জানুয়ারি যে পাতানো "আমি আর ডামি" নির্বাচনের আয়োজন করেছে তা দেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সংকটের দিকে নিয়ে যাবে।'

আজ শুক্রবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

প্রিন্স বলেন, 'দেশকে ভয়ংকর পরিণতির হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনী তফসিলে নির্বাচন দিতে হবে। রাজনৈতিক ঐক্যমত্ত হলো এখনো তা সম্ভব।'

আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ না নেওয়া দলগুলোর সভা-সমাবেশের ওপর 'সংবিধানবিরোধী' নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রিন্স বলেন, 'দেশে জরুরি অবস্থা ছাড়া এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা সংবিধানবিরোধী। এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অধিকার নির্বাচন কমিশনের বা কোনো সংস্থারই নেই। দেশবাসী এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।'

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ। বক্তব্য রাখেন রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ মার্ক্সবাদীর নেতা ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভোট চাওয়ার যেমন অধিকার আছে, তেমনি ভোটে না যাওয়ার, ভোট বয়কট করার এবং জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানানোর অধিকারও রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেই অধিকার খর্ব করেছে।

তারা বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আগে-পরে মোট ১৩ দিন মাঠে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু জরুরি অবস্থা ঘোষণা ছাড়া এত দীর্ঘ সময় সেনাবাহিনীকে মাঠে রাখা যায় না। একটি সরকারের অধীনে নির্বাচনকালীন সময়েতো নয়ই। সরকার বেনামে জরুরি অবস্থা জারি রেখে জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে আবার যেকোনো ভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়।

সমাবেশে নেতারা বলেন, একতরফা নির্বাচন করলে দেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই।

তাদের ভাষ্য, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য দেখানোর জন্য সরকার দলীয় প্রার্থীর বাইরেও নিজ দলের 'স্বতন্ত্র প্রার্থী, ডামি প্রার্থী, উচ্ছিষ্টভোজী সুবিধাভোগীদের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে'। এসব প্রার্থীরা আজ নিজেরা নিজেরাই মারামারি, খুনাখুনি, হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছে। সরকারদলীয় প্রার্থীসহ বিভিন্ন প্রার্থী মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে যে ভোট দিতে না গেলে ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতাসহ সামাজিক সুরক্ষা কার্ড বাতিল করে দেবে।

তারা বলেন, এ তামাশার নির্বাচন বাংলার মানুষ মেনে নেবে না এবং তারা রুখে দাঁড়াবে।

Comments

The Daily Star  | English

65% of suicide victims among students are teenagers: survey

At least 310 students from schools, colleges, universities and madrasas died by suicide last year

2h ago