নাটোর

পুলিশের সামনে লাঠি-হকিস্টিক নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের মহড়া

নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ে রড, লাঠি, হকিস্টিক, বেসবল ব্যাট এবং দেশীয় অস্ত্রসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগের মহড়া, পাশেই রাস্তায় পুলিশের অবস্থান। ছবি: স্টার

নাটোরে পুলিশের সামনেই লোহার রড, লাঠি, হকিস্টিক, বেসবল ব্যাট, চাইনিজ কুড়াল এবং দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়া দিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্রসহ এ মহড়া দেয়।

মহড়ার নেতৃত্ব দেন জেলা যুবলীগ সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম ও সৈনিক লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম জনি।

এ সময় থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশের টিম ওই মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো বাধা দেয়নি। 

জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদ্রাসা মোড় এলাকায় ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ছিল। কিন্তু কর্মসূচি শুরুর আগেই লাঠিসোটা হাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল করে সেখানে উপস্থিত হন।

ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নাটোর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিকেলে মাদ্রাসা মোড় এলাকায় আমাদের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ছিল। কিন্তু লাঠিসোটা হাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের আসতে দেখে কর্মসূচি বাতিল করা হয়।'

অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতারা পুলিশের সামনে লোহার রড, কাঠের লাঠি, বেসবল-ব্যাট, চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করছিল আর পুলিশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল।'

নেতাকর্মীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া করার বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাদ্রাসা রোডে অবস্থানকালে আমি কোনো নেতাকর্মীর হাতে লাঠিসোঁটা দেখিনি।'

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নেতাকর্মীদের হাতে স্ট্যাম্প ও লাঠি ছিল। কিন্তু কোনো ধরনের ধারালো অস্ত্র বা চাইনিজ কুড়াল জাতীয় কিছু ছিল না।'

যোগাযোগ করে হলে নাটোরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবু নাসের ভুঞা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ অভিযোগের বিষয়টি আমি জানি না। এই বিষয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।'

জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইসলামী আন্দোলনের মিছিলের খবর পেয়ে মাদ্রাসা মোড়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছিল। সেখানে অন্য কোনো গ্রুপ অবস্থান নিয়েছিল কি না, জানা নেই।'

'খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,' যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Around 100 injured in clash between students in Jatrabari

Scores of people were injured as students of three colleges clashed at Dhaka's Jatrabari today, turning the area into a battlefield

5h ago