বিএনপি হাওয়া ভবন বানিয়েছিল, আ. লীগও খাওয়া ভবন কম বানায়নি: কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, 'জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না—এ কথা বললে আমি মেনে নেবো না, মেনে নেইও না।'
গতকাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শালগ্রামপুরে দলের দারিয়াপুর ইউনিয়ন শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, 'আওয়ামী লীগের অনেকে বলেন যে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে খুন করছেন, অথবা খুনের সঙ্গে জড়িত, অথবা জানতেন। এগুলো মুখে বলার চেয়ে মামলা দিয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে তাকে মরণোত্তর ফাঁসি দেন, আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধাই না, পাকিস্তানের এজেন্ট—এসব কথা বলে মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করা ভালো না।'
তিনি বলেন, 'আমার বিএনপির ভাইয়েরা একটা হাওয়া ভবন বানিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগও খাওয়া ভবন কম বানায়নি। একবারের জন্যও বিএনপি বলেনি, হাওয়া ভবন বানানো আমাদের ভুল হয়েছে, অন্যায় হয়েছে, মাফ চাই।'
তিনি আরও বলেন, 'উনারা খুবই পপুলার, উনারা আগামী সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী হবেন। আচ্ছা হয়ে দেখেন। ইয়াহিয়া খানও তো চেয়েছিলেন, "বাঙ্গালকা আদমি নেহি চাইয়ে, মিট্টি চাইয়ে"। মাটি পায়নি। বাংলার মানুষের মতামত ছাড়া, বাংলার মানুষের ইচ্ছা ছাড়া, বাংলার মাটি কেউ পাবে না।'
'২০১৮ সালের মতো ভোটচুরি করলে আমার বোনের (শেখ হাসিনা) ক্ষতি হবে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'নির্বাচনে কে আসলো আর কে আসলো না—এটা আমার কাছে বড় কথা না। আমার কাছে বড় কথা হচ্ছে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে এসে ভোট দেবেন, ঈদের দিনের মতো উৎসব করে ভোট দেবেন। সেই ভোটে যদি জেতেন, আপনি নেতা হবেন। চুরি করা যাবে না।'
কাদের সিদ্দিকী বলেন, 'আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল কামাল হোসেনকে বড় নেতা মনে করে তার পেছনে যাওয়া। তিনি বিএনপির সঙ্গে জোট করেছিলেন। কিন্তু, তিনি নেতা না। আমি যেমন সবার পরে বিএনপির জোটে গিয়েছিলাম, তেমনি নির্বাচনের এক মাসের মধ্যেই জোট ছেড়ে দিয়েছিলাম। জোটটা ছেড়েছিলাম এ জন্যেই যে, ওই ভোটটি হয়নি।'
'আমার মেয়ে এখান (সখীপুর) থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিল, ৭৮ হাজার ভোট পেয়েছিল। আল্লাহ সবসময় আমাকে দয়া করছেন। যদি আমার মেয়েটা জিততো, এই সংসদে যেতো, তাহলে কি আমার মান-সম্মান থাকতো? তাই উনারা চুরি করছেন, আমি কিছু বলিনি', যোগ করেন তিনি।
Comments