‘অনেক দেশ সাগ্রহে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করতে চাচ্ছে’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

অনেক দেশ সাগ্রহে বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করতে চাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন।

আজ রোববার সকালে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা পাসপোর্টের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সম্প্রতি আমাদের পাসপোর্টের সেবা অনেক উন্নত হয়েছে, আগের মতো বছর খানেক বসে থাকতে হয় না। কিছু কিছু যেগুলো অবাঞ্ছিত, সেগুলোতে সময় লাগে। অধিকাংশ পাসপোর্ট পেয়ে যান।'

বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মোমেন। তিনি বলেন, 'ই-গেট কার্যক্রম শুরু মাধ্যমে আমাদের পাসপোর্টের মান আরও বৃদ্ধি পাবে। তখন বহু দেশে যাওয়ার জন্য আমার ভিসার দরকার হবে না। অনেক দেশ সাগ্রহে আমাদের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করতে চাচ্ছে। এটা ইতিবাচক।'

'শেখ হাসিনা থাকলে আমরা অনেক অনেক উন্নত অবস্থানে পৌঁছাবো,' বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, 'আমেরিকার ৭২ শতাংশ জনগণ মনে করেন তাদের গণতন্ত্র খুব দুর্বল। রিপাবলিকান পার্টির ৭৭ শতাংশ মনে করেন, গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতি করা হয়েছে। আমাদের দেশের কিছু লোক এ ধরনের আছে। ওই দেশে গড়ে ৫০ জনের নিচে লোকে ভোট দেয়। আমাদের দেশের ৭২-৮০-৯০ শতাংশ মানুষ ভোট দেন।' 

আমাদের দেশের নির্বাচন খুব অংশগ্রহণমূলক উল্লেখ করেন তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। যখন আওয়ামী লীগ সরকার সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোট পেল, তাদের সরকার গঠন করতে দিলো না। তখন আমরা আন্দোলন শুরু করলাম। গণহত্যা হওয়ার পরে আমরা স্বাধীনতার ঘোষণা দিলাম। আমাদের জন্ম হয়েছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা যুদ্ধ করেছি আত্মমর্যাদার জন্য। এ দেশের প্রতিটি মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এ আদর্শগুলো আছে। অন্যরা মতুব্বরি করে পরামর্শ দেওয়ার দরকার নেই। উনারা (আমেরিকা) নিজেদের আয়নায় দেখুক। আমরা অঙ্গীকার করেছি, আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে। সবাইকে নিয়ে আমরা করতে চাই। আমার দল বিশ্বাস করে আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো।'

আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তারা জিনিসগুলো হয়তো ঠিক মতো পর্যবেক্ষণ করছেন না বলে অনেক সময় অনেকগুলো অবান্তর বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমি আশা করবো তারা আমাদের ইতিহাস পড়বেন এবং আমাদের চলার পথ দেখবেন। এই দেশ হলো গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু।'

সিলেটে আরও একটি পাসপোর্ট অফিস চালুর প্রস্তাব রেখে মোমেন বলেন, 'সিলেট অঞ্চলে প্রতিনিয়ত পাসপোর্টের জন্য হাহাকার। বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসে। যেহেতু জনগণ সময় মতো পাসপোর্ট পান না, সে জন্য তারা তিলকে তাল করে অভিযোগ করেন। এটা আমার জন্য খুব দুঃখজনক।'

এ সময় দ্বৈত নাগরিকত্ব আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির করার তাগিদ দেন তিনি। মোমেন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে চান।'

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia acquitted from Zia Orphanage Trust graft case

Following the judgement, there is no legal bar for Khaleda Zia to contest the next general election

53m ago