‘এ্যানিকে পুলিশ কমিশনার ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করল, কাকে বিশ্বাস করবো’

নয়াপল্টন থেকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: পলাশ খান/স্টার

বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাসহ প্রায় ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গতকাল বুধবার আটক করেছে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

এ্যানিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আজ দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'গতকাল এ্যানিকে পুলিশ কমিশনার টেলিফোন করে বলেছিলেন, আপনি আসেন আমার অফিসে, সমাবেশস্থলের বিষয়ে সিদ্ধান্তের চিঠিটা নিয়ে যান। কমিশনারের কথায় এ্যানি বের হন কমিশনারের কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য। অথচ, বের হয়ে কমিশনারের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে এ্যানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।'

তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, 'তাহলে বলেন, কাকে এবং কীভাবে বিশ্বাস করবো আমরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে লাভ কী?'

ঢাকায় বিএনপির সমাবেশস্থলের বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন এ্যানি। বিএনপির সঙ্গে সমাবেশস্থলের অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনা করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিঝিল)।

গতকাল দুপুরে এ্যানি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'দুপুর ২টায় পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। আমাদের অবস্থানের কথা আগেও যেভাবে বলেছি, আজও একইভাবে বলেছি। আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাই। সেটা না হলে বিকল্প হিসেবে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সমাবেশ করতে চাই। পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুক্ষণের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে বলেছে, আমরা অপেক্ষায় আছি।'

এ্যানির কথায় স্পষ্ট ছিল যে সমাবেশস্থলের বিষয়ে যে ধোঁয়াশা ছিল তা কেটে যাচ্ছে এবং পুলিশ তাদেরকে সমাবেশের জন্য অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে।

এ্যানি এটাও বলেছিলেন, 'আমরা আশাবাদী যে তারা নয়াপল্টনেই আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেবেন।'

এরপরই দুপুর ৩টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে বিএনপির ১ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছেন শতাধিক।

আলোচনার এমন একটি পর্যায়ে হঠাৎ বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের এমন অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, 'পুলিশের অভিযানের বিষয়ে জানতে পেরে আমি যখন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তিনি আমাকে বলেন, "স্যার, আমি তো অনুমতিপত্রটা দেওয়ার জন্য ডেকেছি। কিন্তু এসব কেন হচ্ছে সেটা জানি না। তখন তাকে বললাম, আমি আমাদের অফিসের দিকে যাচ্ছি। এ কথা শুনে কমিশনার আমাকে বললেন, "আপনার ওদিকে আর যাওয়ার দরকার নেই। আমি সবাইকে ঘোষণা দিয়ে দিব।" অর্থাৎ, পুলিশ পরিকল্পিতভাবেই এই সমস্যাটা তৈরি করেছে, যাতে ঢাকায় আমরা সমাবেশ করতে না পারি।'

বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পরে পুলিশের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'পুলিশ কমিশনার, ডিসি মতিঝিলসহ সংশ্লিষ্ট কেউই এখন আর ফোন ধরছেন না। নানাভাবে চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না।'

বিএনপির পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, 'সারা দেশে আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচী আছে। এরপর আমরা দলীয় নেতৃবৃন্দ একসঙ্গে বসে পরবর্তী কর্মসূচী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

1h ago