বিএনপি নেতা-কর্মীতে পূর্ণ কুমিল্লার টাউন হল মাঠ
আজ ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। ইতোমধ্যে গণসমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ শেষ হয়েছে। কুমিল্লার পাশের জেলাগুলো থেকে আসা নেতা-কর্মীতে পূর্ণ হয়ে গেছে সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠ। বিএনপি বলছে, আজকের সমাবেশ জনসমুদ্র হবে।
সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সবকিছু ভালোভাবেই হচ্ছে। শনিবারের সমাবেশ জনসমুদ্র হবে।'
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাউন হল মাঠ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীতে পূর্ণ হয়েছ গেছে। মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে মিউজিক স্টিস্টেম বাজছে। গান করছেন জাসাস শিল্পীরা। নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখতেই এই কৌশল বলে জানিয়েছে বিএনপি। অনেকে স্মার্টফোনে লাইভ করছেন, সেলফি তুলছেন। মাথায় ক্যাপ, বুকে নেতা-কর্মীদের ছবি সংবলিত 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' লেখা টিশার্ট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাঠের উত্তর পশ্চিম কোনায় তৈরি দক্ষিণমুখী মঞ্চ থেকে পশ্চিম-দক্ষিণ প্রান্তে নেতা-কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসায় মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে। পূর্ব প্রান্তে আছে পানির ব্যবস্থা।
এদিকে ডেকোরেশনের দায়িত্বে থাকা সেলিম জানান, সব কাজ শেষ শুধু চেয়ার বিছানো বাকি। সমাবেশের মঞ্চ ২ শতাধিক নেতা-কর্মী ধারণ করতে পারবে।
কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু জানান, তিনি ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় ৭৮টি ফ্ল্যাটে ও আরও কিছু বাড়িতে ২৫ হাজার মানুষের থাকা-খাওয়ার আয়োজন করেছেন। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, কচুয়া, শাহরাস্তি ও কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম নাঙ্গলকোট, চান্দিনা, মুরাদনগর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আখাউড়া থেকে নেতা-কর্মীরা এসেছেন।
বিএনপির কুমিল্লা দক্ষিণের আহ্বায়ক হাজি আমিনুর রশিদ ইয়াছিন জানান, তার উদ্যোগে ৩০ হাজার মানুষের খাবারের করা হয়েছে।
হাজি ইয়াছিনের অনুসারী মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু ১০টি গরু কেনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন জানান, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষের আবাসন ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে শহরের আদালত কাপ্তানবাজারের আশপাশের এলাকায়।
এছাড়াও, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে শহর জুড়ে আরও লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি সূত্র।
এর আগে, বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা বরকত উল্লা বুলু এই বিভাগীয় সমাবেশে ৫ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে জানিয়েছিলেন।
কুমিল্লা শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা সাজ্জাদুল কবীর বলেন, 'এই মুহূর্তে টাউনহল মাঠ ও তার আশপাশে ২০ হাজার নেতা-কর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।'
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থেকে আসা মীর হোসেন ও হাবিব জানান, তাদের উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন থেকে সহস্রাধিক মানুষ এসেছেন। তারা সারারাত জেগে কাটাবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক কুমিল্লা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ সেলিম জানান, ঐক্যবদ্ধভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই আন্দোলনের সফলতা খালেদা জিয়ার মুক্তিতেই প্রতিষ্ঠিত হবে।
Comments