গণসমাবেশ ঘিরে কুমিল্লা টাউন হলের দিকে বিএনপির খণ্ড খণ্ড মিছিল
কুমিল্লায় বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় গণসমাবেশের জন্য নির্ধারিত টাউন হল মাঠে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই সমবেত হতে শুরু করেছিলেন বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী। আজ শুক্রবারও একই ধারাবাহিকতায় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন তারা।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি এবং নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা ঘটনায় বিএনপির চলমান গণসমাবেশের ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শনিবার কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই সমাবেশ।
এতে অংশ নেবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা, কুমিল্লা উত্তর জেলা, কুমিল্লা মহানগর এবং চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি।
বিভাগীয় এই গণসমাবেশকে ঘিরে এরই মধ্যে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। কুমিল্লা নগরী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও হঠাৎ প্রাণ ফিরে পেয়েছে দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা দলটি। এজন্য সমাবেশ সফল করতে ৫টি ইউনিটের নেতা-কর্মীরা দিনরাত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ শুক্রবার সকালে দেখা যায়, সমাবেশের ১ দিন আগেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা টাউন হল মাঠের দিকে আসছেন। তাদের অনেকের গায়ে স্থানীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত টি-শার্ট। মাথায় ক্যাপ। হাতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড।
এই টাউন হল মাঠে রাত যাপনের অনুমতি মেলেনি। দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের থাকার জন্য শহরের বেশ কিছু কমিউনিটি সেন্টার ও হোটেল বুকিং দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত অপ্রতুল। তা সত্ত্বেও ১ দিন আগে সমাবেশ উপলক্ষে ১৫ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী কুমিল্লায় চলে এসেছেন বলে জানান বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
দ্য ডেইলি স্টারকে সাক্কু বলেন, 'মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, চিতষী, শাহরাস্তি ও চান্দিনাসহ বিভিন্ন বিভিন্ন উপজেলা থেকে এরমধ্যে ১৫ হাজারের বেশি লোক চলে এসেছে। তাদের জন্য ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকালের জন্য ডিম-খিচুড়ি, দুপুরে মুরগি-ভাত ও রাতে বিরিয়ানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক উৎবাদুল বারী আবু জানান, সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের খাওয়ার জন্য ১০টি গরুও কেনা হয়েছে।
কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনির হোসেনের ভাষ্য, ৫টি সাংগঠনিক জেলা থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রায় ৫০ হাজার নেতা-কর্মীর যোগ দেওয়ার কথা এই সমাবেশে।
এদিকে সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠে এরমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে মঞ্চের কাঠামো। মঞ্চ তৈরির কাজ তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা ঢাকা ডেকোরেটরের কর্মী আলমগীর জানান, কাপড় ও ফুল লাগানোর পর রাতেই মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।
Comments