ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ: মাঠেই চিকিৎসার ব্যবস্থা
ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের ৩ দিন আগে থেকে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মী জড়ো হচ্ছেন। ইতোমধ্যে সমাবেশস্থল বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। এসব নেতাদের কেউ অসুস্থ হলে সমাবেশস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে সমাবেশস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের চিকিৎসা দিতে বিএনপির সহযোগিতায় কাজ করছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, এই কার্যক্রম আগামীকাল সারাদিন চলবে।
তিনি বলেন, '৩ দিন আগে থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এসেছে। এখানে এতে রাতের শীতে অনেকের জ্বর-ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। আবার অনেকের মাথাব্যথা ও বুকব্থা করছে। আমরা তাদের ঠান্ডার ওষুধ ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিচ্ছি। এই কার্যক্রম কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আজ ৯ জন এমবিবিএস চিকিৎসক সেবা দিচ্ছে। আগামীকাল আরও ৮- ১০ চিকিৎসক আসবেন। এছাড়া আমরা ২টি অ্যাম্বুলেন্স আনব কাল। যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা হবে।'
বিএনপি নেতাকর্মীদের চিকিৎসায় কাজ করছেন ডা. সাইম আল মনসুর। তিনি বলেন, 'আমাদের দলে মোট ১৮ জন চিকিৎসক আছেন। আমরা সময় ভাগ করে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মী চিকিৎসা নিয়েছেন।'
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পূর্ব পাশে একটি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র খুলে টেবিলের ওপর সারি সারি ওষুধ সাজিয়ে রেখেছেন চিকিৎসক দল। সেখানে নেতাকর্মীরা এসে শারীরিক সমস্যার কথা বলে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন।
রাজবাড়ির পাংশা উপজেলা থেকে আসা মো. আব্দুল ওহাব বলেন, 'আমি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছি। তাই জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে ওষুধ সংগ্রহ করেছি। সমাবেশস্থলের আশপাশে কোনো ওষুধের দোকান না থাকায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তবে, এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি খোলায় অনেক নেতাকর্মীর উপকার হবে।'
ড্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা সমাবেশস্থলে মানুষের সেবা দিতে স্বাস্থ্য ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। কয়েকদিন আগ থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছে অনেক মানুষ। তাদের অনেকেই পানি শূন্যতায় ভুগছেন, অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। এছাড়া স্লোগান দিতে দিতে নেতাকর্মীদের গলাব্যথা, হেঁটে আসার কারণে অনেকের পায়ে ব্যথা, তীব্র গরমেও ক্লান্ত। তাই আমরা এখানে সব ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রেখেছি। প্রয়োজনে কাউকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবাও দেওয়া হবে।
Comments