হোসেন্দী ইউনিয়ন উপনির্বাচনে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৩ সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় তারা গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার সকালে ইউনিয়নের ইসমানীর চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-সোহেল রানা (৩৬), সাইফুল সর্দার (৪৫) ও ফারুক(৩২)। তারা এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব মিয়ার সমর্থক বলে জানা গেছে।
হোসেন্দী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস মোল্লা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বুধবার সকালে ইসমানীর চর ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের কাছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকরা শটগানের গুলি ছুড়লে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব মিয়ার ৩ সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানান তিনি।
আহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কান্তা রানী দাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আহত অবস্থায় ৩ জনকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তারা শটগানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।'
'প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে,' বলেন তিনি।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল হক মিঠু ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলেও তারা তা রিসিভ করেননি।
যোগাযোগ করা হলে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিন জন গুলিবিদ্ধের খবর পেয়েছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কথা বলে জেনেছি এগুলো তেমন গুলি নয়, ছররা গুলি।'
তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচনী কেন্দ্রের আশেপাশে এ ঘটনা ঘটেনি। দূরে গ্রামের মধ্যে ঘটেছে। কী নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছে সেটা পুলিশ ভালো বলতে পারবে।'
এ বিষয়ে জানতে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শটগানের ছোড়া গুলিতে তারা আহত হয়েছেন। কেউ তেমন গুরুতর আহত নন। সবাই আশঙ্কামুক্ত।'
তবে, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
Comments