সমাবেশের অনুমতি পায়নি বিএনপি, নেতা-কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ

ছবি: স্টার

ময়মনসিংহে আগামীকাল অনুষ্ঠেয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।

আজ শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ তোলা হয়। বিএনপির বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স জানান, সমাবেশকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে গত পরশু থেকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোথাও সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। উনারা বলেছেন, ওখানে (সার্কিট হাউজ মাঠ) না করা ভালো। আমরা তাদের বলেছি, আমাদের এত বড় সমাবেশ আর কোথায় করবো? আর তো জায়গা নেই। আলোচনাটা এই অবস্থায় আছে। তারা সম্মত হচ্ছেন না আর আমরা রাজি করাতে অনুরোধ করে যাচ্ছি।

ইমরান আরও বলেন, উনারা যেখানে সমাবেশ করতে বলছেন সেখানে করতে গেলে পুরো শহর কলাপ্স হয়ে যাবে। সার্কিট হাউজ মাঠের পুরোটা চাইনি আমরা, একটি অংশ চেয়েছি। সেটা দিতে আপত্তিটা কোথায়! তারা আমাদের বলেনি যে, এই কারণে দেওয়া যাবে না।

সমাবেশের আকার ছোট দেখানোর জন্য তারা (প্রশাসন) ছোট জায়গায় সমাবেশ করার পরামর্শ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুম আহমেদ ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হয়রানির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জেলা প্রশাসন সমাবেশের অনুমোদন দেবে। আমরা চাইবো, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে আজ বিকেলে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, দেশব্যাপী বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল একই জায়গায় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো বিশৃঙ্খলা বা জনগণের জানমালের ক্ষতির চেষ্টা করা হলে তাদের প্রতিহত করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago