এ দেশে আন্দোলনে জিতলে নির্বাচনেও জেতা যাবে: কাদের

ওবায়দুল কাদের
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশে আন্দোলনে জিতলে নির্বাচনেও জেতা যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে 'পিতার শোক, কন্যার শক্তি বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি' শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন করবেন, ব্যর্থ হলে নন্দঘোষ আওয়ামী লীগ। সোনার হারিণ, দেখাতো মিললো না। আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা না দিলে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কোনো দিনও দেখা দেবে না। এই দেশে ভিত্তি নিয়ে নির্বাচনে যেতে হয়। এ দেশে আন্দোলনে জিতলে নির্বাচনেও জেতা যাবে। ষড়যন্ত্র করে কাউকে হত্যা করতে পারবেন, ক্ষমতা পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ১৩ বছর ধরে কত শুনলাম রোজার ঈদের পরে, কোরবানির ঈদের পরে, দেখতে দেখতে ১৩ বছর। দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, পদ্মা-মেঘনা নদীতে কত পানি গড়িয়ে যায় কিন্তু ফখরুল সাহেবদের আকাঙ্ক্ষিত আন্দোলনের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যায় না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লি এখনো অনেক দূরে।

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, কষ্ট প্রকাশ করে কী করবেন? শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি ভাগ্যবতী। আল্লাহ এই দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছে স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে সৃষ্টি করেছে মুক্তির জন্য। শোককে শক্তিতে পরিণত করে মুক্তির লড়াইয়ে আপোসহীন কাণ্ডারী শেখ হাসিনা। অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, নির্বাচনে যেতে তো হবে। যতই মুখে বলেন, বাস্তবে আমরা তো বুঝি বিশাল একটা মনোনয়ন বাণিজ্য আছে। এই লোভ আপনারা সামলাতে পারবেন না।

আন্দোলন তরঙ্গময় করুন, আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু যা দৃশ্যমান, সত্যকে অস্বীকার করে লাভ নেই। শ্রীলঙ্কা তো বানিয়েই ফেলেছিলেন। পাকিস্তানের কথা বলতে লজ্জা লাগে। ওই দেশের অবস্থা কাবু হয়ে গেছে। কথায় কথায় চলে যায় শ্রীলঙ্কায়। এখনো চল্লিশের কাছে আমাদের রিজার্ভ। গত ৬ মাসে যত রেমিট্যান্স এসেছে, এর আগেও ৬ মাসে এত রেমিট্যান্স আসেনি। এ বৈশ্বিক-আর্থিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে মূল্য দিতে হচ্ছে, বলেন কাদের।

তিনি আরও বলেন, আমরা দোষী না, আমরা অপরাধী না। আমাদের আর্থিক সংকটে বৈশ্বিক পরিস্থিতির মূল্য দিতে হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে মূল্য দিতে হচ্ছে। রাত জেগে জেগে দেশের মানুষের কথা ভাবতে হচ্ছে। ধৈর্য্যহারা হবেন না কেউ, ইনশাল্লাহ এই দিন থাকবে না। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী মানুষের কষ্ট বোঝেন। নিজেই বলেছেন, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সরকার প্রধান হয়ে তিনি নিজেই বলেছেন, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এই কষ্ট লাঘবের উদ্যোগ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কষ্ট সাময়িক, এ দুর্দিন চলে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Students, teachers call for JnU 'shutdown'

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

2h ago