কাদেরের বক্তব্যের সময় ২ এমপির সমর্থকদের সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সময় দুপক্ষের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কুমিল্লা নগরের নজরুল এভিনিউ সড়কে সংঘর্ষ চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমার অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
দ্য ডেইলি স্টারকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের সামনেই উভয়পক্ষকে গোলাগুলি করতে দেখা গেছে।
আঞ্জুম সুলতানা সীমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল কেন্দ্র থেকে আমাকে নিশ্চিত করা হয়েছিল আমি আমার কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সম্মেলনে যেতে পারবো। সে অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১১টায় আমি যখন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসি তখন টাউনহল গেট বন্ধ দেখতে পাই। সে সময় আমি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ভাইকে ফোন করি এবং জানাই, আমি আপনাদের নির্দেশনায় সম্মেলনে এসেছি।'
'তিনি ফোন রেখে দেওয়ার পরে গেট থেকে জানানো হয়, শুধুমাত্র আমি সম্মেলনে যেতে পারবো, আমরা কর্মী-সমর্থকরা যেতে পারবে না। আমি ফিরে আসছিলাম, সে সময় পেছন থেকে বাহাউদ্দিন বাহারের সমর্থকরা হামলা করে। পরবর্তীতে আমার কর্মীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে,' বলেন সীমা।
বাহার সমর্থিত মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শহীদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ভেতরে অবস্থান করছিলাম, সংঘর্ষ হয়েছে সম্মেলনস্থলের বাইরে। সীমা সমর্থিত লোকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সম্মেলন থেকে বের হয়ে কেউ হামলা করেছে বলে আমার জানা নেই।'
সংঘর্ষের ঘটনায় দৈনিক প্রথম আলোর কুমিল্লার ফটো সাংবাদিক এম সাদেক আহত হয়েছেন। তার গলায় স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে।
এম সাদেক ডেইলি স্টারকে জানান, এই মুহূর্তে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছিল। পুলিশ দুপক্ষকেই নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
Comments