আমদানি করা গুঁড়া দুধের টাকা দিয়ে অনেকগুলো সংরক্ষণাগার করা যেতে পারে: ফরিদা আখতার

আমদানি করা গুঁড়া দুধের টাকা দিয়ে অনেকগুলো সংরক্ষণাগার করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
আজ শনিবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গবাদিপশুর ক্ষুরারোগ প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফরিদা আখতার বলেন, 'আমরা যেই টাকা দিয়ে গুঁড়া দুধ আমদানি করি, সেই টাকা দিয়ে অনেকগুলো চিলিং সেন্টার (সংরক্ষণাগার) করতে পারি। কেন আমরা সেই চিলিং সেন্টার করছি না? এটা আমরা সরকারিভাবে করার চেষ্টা করব। পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও আমরা উৎসাহ দেবো যাতে তারা সেটা করেন।'
'রপ্তানি করার জন্য ক্ষুরারোগের (এফএমডি ভাইরাস) টিকা দেওয়া হচ্ছে বিষয়টা এমন নয়। আমরা যদি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করি, সেগুলো কিন্তু একটি প্রাণ। কোনো রোগ হলে তারও কষ্ট হয়। কোনো রোগেই যেন প্রাণীর কষ্ট না হয়, এ জন্যই আমরা ভ্যাকসিনটা দেবো। শুধুমাত্র মাংস ভালো পাওয়ার জন্য কিংবা রপ্তানি করার জন্য না।'
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, 'যেসব দেশ থেকে আমরা মাংস আমদানি করি, ওই সব দেশে প্রাণীর দুরারোগ্য রোগ নির্মূল করা হচ্ছে। আমরা চাই যে মানুষের কোনো রোগ না থাকুক, তেমনি প্রাণিসম্পদেরও কোনো রোগ না থাকুক সেই আমরা চেষ্টা করব। সরকার অনেক চেষ্টা করছে। এফএমডি ভ্যাকসিন আনার জন্য যেই সময় চলে যাচ্ছে, মানুষ পাচ্ছে না, এটা নিয়ে যে উৎকণ্ঠা, সেজন্য মন্ত্রণালয় অব্যাহত প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আমরা এমন একটা ভ্যাকসিন এনেছি, যে ভ্যাকসিনটা প্রাণিদেহে কাজ করে। আর্জেন্টিনাতে গিয়ে এটা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই এই ভ্যাকসিন প্রথম ডোজের জন্য চলে এসেছে। ছয় মাস পর দ্বিতীয় ডোজ আসবে। কাজেই এখন আমাদের এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে খামারির সহযোগিতা খুবই দরকার।'
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মজিবুর রহমানসহ দুই শতাধিক খামারি উপস্থিত ছিলেন।
Comments