বাংলাদেশ

গরুর শিং তিন ফুট, দাম ১৬ লাখ

রং ও আকার বিবেচনায় কংকরাজ, শাহীওয়াল, হলস্টিন, ফ্রিজিয়ান ও রেড চিটাগাং জাতের গরুর বেশি চাহিদা রয়েছে।
কংকরাজ জাতের গরুটির শিংয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় তিন ফুট। ছবি: রাজীব রায়হান/ স্টার

সাদা রংয়ের কংকরাজ জাতের গরু, যার শিংয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় তিন ফুট। চট্টগ্রাম এশিয়ান এগ্রো ফার্মের এ গরুটি বিক্রি হয়েছে ১৬ লাখ টাকায়। গরুটি কিনেছেন চট্টগ্রামের একজন ব্যবসায়ী।

চট্টগ্রাম এশিয়ান এগ্রো ফার্মের মালিক ওয়াসিফ আহমেদ সালাম জানান, গরুর রংয়ের পাশাপাশি বড় শিংয়ের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ আছে। খামারে থাকা এমন প্রায় ২৫টি গরুর বেশিরভাগই বিক্রি হয়ে গেছে। এক লাখ থেকে ১৭ লাখ টাকায় পর্যন্ত এসব গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।

রং ও আকার বিবেচনায় কংকরাজ, শাহীওয়াল, হলস্টিন, ফ্রিজিয়ান ও রেড চিটাগাং জাতের গরুর বেশি চাহিদা রয়েছে। তাই এবার এসব জাতের গরুই প্রস্তুত করেছেন বলে জানান এ তরুণ উদ্যোক্তা।

তিনি বলেন, 'চট্টগ্রামের মানুষজনের বড় ও সুন্দর গরু কোরবানি দেওয়ার আগ্রহ বেশি। সেই দিক বিবেচনায় নিয়ে এবার ২৫৫টি গরু প্রস্তুত করেছি। এখন ১৫-২০টি গরু বিক্রির বাকি আছে।'

চট্টগ্রাম বায়েজিত এলাকায় এশিয়ান এগ্রো খামারে গত এক দশক ধরে কোরবানির গরু প্রস্তুত করছেন এ উদ্যোক্তা।

এশিয়ান এগ্রো ছাড়াও চট্টগ্রামে শতাধিক এগ্রো ফার্মে দেশি ও বিদেশি জাতের এক লাখের বেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান এ খাতের উদ্যোক্তারা। চট্টগ্রাম জেলায় এবার অন্তত সাড়ে চার লাখ গরু কোরবানি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

খামার ছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীতে ১৫০টির বেশি স্থানে গরুর অস্থায়ী হাট বসেছে বলে পুলিশ ও সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়।

Comments