স্টারলিংককে লাইসেন্স হস্তান্তর করল বিটিআরসি

স্টারলিংক কর্মকর্তার কাছে লাইসেন্স হস্তান্তর করেন বিটিআরসি প্রতিনিধি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর জন্য মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংককে লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্টারলিংক কর্মকর্তার কাছে লাইসেন্সটি হস্তান্তর করা হয় বলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল বারী দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন ও নির্ধারিত ফি পরিশোধের পর আমরা স্টারকিংকের লাইসেন্স ইস্যু করেছি।'

কবে নাগাদ তারা ইন্টারনেট সেবা চালু করতে পারে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখন তাদের কাজ হলো, কীভাবে গেটওয়ে ও গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করবে তা নিয়ে স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের পরিকল্পনা আমাদের জানানো।'

মো. এমদাদুল বারী আরও জানান, সেবা চালুর আগে স্টারলিংককে তাদের ইন্টারনেট ট্যারিফ অনুমোদনের জন্য জমা দিতে হবে।

গত ৭ এপ্রিল স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট বা এনজিএসও স্যাটেলাইট সার্ভিস অপারেটর গাইডলাইনের অধীনে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। 

আবেদনের পর বিটিআরসি সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে, কমিটি সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে।

পরে বিটিআরসির দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কারওয়ান বাজারে স্টারলিংকের বাংলাদেশ অফিস পরিদর্শন করে।

এরপরই প্রতিষ্ঠানটিকে লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

বিটিআরসির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি বিটিআরসি ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে দেওয়া সুপারিশ।'

এর পেছনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মার্চ মাসের একটি নির্দেশনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেসময় তিনি ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংকের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

তবে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, স্থানীয় গেটওয়ে স্থাপনসহ কারিগরি প্রস্তুতির জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবা চালু করা স্টারলিংকের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে স্টারলিংকের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

World press freedom day: 266 journalists face criminal cases so far

Fears for physical safety and instances of judicial harassment are still profoundly visible -- only the actors have changed.

10h ago