‘মার্চ ফর জাস্টিস’

যশোরে পুলিশের লাঠিচার্জ, ৬ শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ 

শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ। ছবি: সংগৃহীত

যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। সেখান থেকে অন্তত ছয় শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করছে তারা।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হেফাজতে নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন রনি, আকাশ, রানা, তৌহিদুল, রিয়াজ ও ইব্রাহিম।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদ ও জাতিসংঘের তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিসহ ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকাল থেকে যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে থাকেন তারা। পরে সবাই একত্রিত হয়ে যশোর পৌরসভার সামনে মিছিলের চেষ্টা করেন। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। 

মিছিলটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। ছবি: সংগৃহীত

পরে শিক্ষার্থীরা ফের একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হন। মিছিলটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, মিছিল শুরুর আগে শহরের ঈদগাহ মোড় এলাকা থেকে রনি, আকাশ, রানা, তৌহিদুল, রিয়াজ ও ইব্রাহিমকে ধরে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে। তারা বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। শত বাধা দিয়ে ও আটক করে আমাদের আন্দোলন প্রতিহত করা যাবে না। আমরা রাজপথে আন্দোলনে ছিলাম, রাজপথেই থাকব। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।' 

এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

15h ago