আন্দোলনে নিহত হাসানের মরদেহ ৬ মাস পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর

মোহাম্মদ হাসান। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত মোহাম্মদ হাসানের (২০) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে।

হাসান গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিহত হন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে তার মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

যাত্রাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে হাসানসহ অভ্যুত্থানে নিহত ছয়জনের মরদেহের খোঁজ পাওয়া যায়। পরদিন আরও একজনের মরদেহের খোঁজ মেলে।

হাসানের বাবা মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, 'গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে আমার ভাই ও হাসানের খালা ঢাকা মেডিকেলের মর্গে হাসানের মরদেহ শনাক্তের কথা জানান। পরে ১৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ি থানার মাধ্যমে আদালতের নির্দেশে মালিবাগ সিআইডি অফিসে আমি ও হাসানের মা ডিএনএ নমুনা দেই। গতকাল বুধবার আমাদের জানানো হয় হাসানের ডিএনএর সঙ্গে আমাদের ডিএনএ মিলে গেছে।'

তিনি জানান, মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে হাসানের জানাজা হবে।

মনির হোসেন জানান, তাদের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলায়। হাসান যাত্রাবাড়ী সুতিখালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতেন এবং গুলিস্তান এরশাদ মার্কেটে একটি ইলেকট্রিক দোকানে কাজ করতেন।

গত ৫ আগস্ট বিকেলে সুতিখালপাড়ের বাসা থেকে বের হন হাসান। এরপর আর বাসায় ফেরেননি।

যাত্রাবাড়ীর রাস্তায় পায়ে তার প্যাঁচানো অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকার ছবি ভাইরাল হয়। সেটি হাসানের মরদেহ ছিল বলে জানান মনির।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের ইনচার্জ রামু চন্দ্র দাস বলেন, 'মর্গে থাকা একজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনো এক নারীসহ ছয়জনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। সবগুলো মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তাদের স্বজনের খোঁজ না পাওয়া গেলেও সবগুলো মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।'

এসআই মো. মোরশেদ আলম বলেন, 'গত ১৩ জানুয়ারি হাসানের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়। আজ রাতে লিখিতভাবে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।'

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

1h ago