আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৭
পাঠ্যবই থেকে 'আদিবাসী' শব্দসম্বলিত গ্রাফিতি বদলে দেওয়ায় প্রতিবাদ জানানো আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় 'সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার' বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে ছয় শিক্ষার্থী ও এক পথচারীসহ মোট সাতজন আহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফারুক বলেন, 'সাতজন আহত হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়।'
আহতরা হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাসমিয়া তাবাসসুম নেবুলা (২২) ও জাহিদুল ইসলাম রিয়াদ (২২), নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন (২০), ঢাকা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৈয়ব ইসলাম (২৪), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিব (২৩), ইডেন কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন (২৪) ও পথচারী মো. বাবুল (৪৮)।
গতকাল বুধবার ঢাকায় এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিল 'সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা'।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে সংগঠকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে শিক্ষাভবনের সামনে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়।
এ সময় মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহারের পাশাপাশি পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ডগ্রেনেড ছোড়ে। লাঠিচার্জ করে।
আহত ইভান তাহসিব জানান, গতকাল আদিবাসীর উপড় হামরার প্রতিবাদ জানাতে তারা সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য্যের সামনে থেকে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে সচিবালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় হাইকোর্ট এলাকায় আসলে পুলিশী বাধার সম্মিখীন হয়। বাধা অতিক্রম করে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাদের উপড় লাঠি চার্জ, জল কামান নিক্ষেপ করে। এতে তারা আহত হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাতজন আহত হয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসেছে। তাদেরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়।
Comments