পান্থকুঞ্জ পার্কে এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প নির্মাণ বন্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

পান্থকুঞ্জ পার্কে আজ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিন উপদেষ্টা। ছবি: বুলবুল ইসলাম

রাজধানীর কারওয়ান বাজার সংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্কে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

তাদের দাবি, এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প নির্মাণের জন্য পান্থকুঞ্জ পার্কের গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে এবং প্রকল্পের কারওয়ানবাজার থেকে পলাশী পর্যন্ত অংশ নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

আজ সোমবার দুপুরে যোগাযোগ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান পান্থকুঞ্জ পার্কে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন।

আলোচনায় কোনো সমাধান না হওয়ায় এক পর্যায়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির সেখান থেকে চলে যেতে চান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা প্রায় ১০ মিনিট তার পথ আটকে রাখেন।

আন্দোলনকারীদের একজন বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আমিরুল রাজীব সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থামাবো না।'

গত ১০ দিন ধরে তারা পান্থকুঞ্জ পার্কে অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের একটি এক্সক্যাভেটর আটকে রেখেছেন।

আজ তিন উপদেষ্টা সেখানে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা বলেন, পিপিপির আওতায় এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ানবাজার থেকে পলাশী অংশ নির্মাণ বন্ধ সম্ভব নয়। 

তখন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে উপদেষ্টাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান পরিস্থিতি শান্ত করেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আলোচনার আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'এই পার্কে সবুজায়ন কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব এবং বৃহস্পতিবার আরেকটি বৈঠক করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করব।'

হতাশা প্রকাশ করে আমিরুল রাজীব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এগারো দিন ধরে টানা আন্দোলনের পরেও কোনো সমাধান আসেনি। উপদেষ্টারা আসার পরও, তারা বিকল্প পার্কের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। তাই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।'

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

10h ago