তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ১৯ জানুয়ারি

স্টার ফাইল ফটো

২০১১ সালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে তিনটি আবেদনের ওপর শুনানির দিন হিসেবে ১৯ জানুয়ারি ধার্য করেছে আপিল বিভাগ।

আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ এ বিষয়ে শুনানিতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা আরও সময় চেয়ে আবেদন করলে শুনানির নতুন তারিখ দেয় আপিল বিভাগের বেঞ্চ। 

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও পাঁচ সচেতন নাগরিক এর আগে আপিল বিভাগে ২০১১ সালের যে রায়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়, তা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। 

গত ২৭ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি প্রথমবারের মতো এই রিভিউ আবেদন করেন। তারা রিভিউ আবেদনে যুক্তি দেন, জনগণের রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়। তাই এটি সংবিধানের একটি মৌলিক কাঠামোতে পরিণত হয়েছে, যা বাতিল করা যাবে না

আবেদনকারীরা আরও জানান, আপিল বিভাগের যে রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করা হয়েছিল, তা স্ববিরোধী, কারণ আদালতের সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়েছিল পরবর্তী দুই নির্বাচন (দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজন করা যেতে পারে। কিন্তু, পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ বিষয়টির উল্লেখ ছিল না।

বাকি চার আবেদনকারী হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এরপর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আলোচনা শুরু হয়। এ সূত্রেই আসে রিভিউ আবেদন। 

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

এই রায়ের পর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এতে অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এ বিষয়ে একই বছরের ৩ জুলাই একটি সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।

এ বছর যথাক্রমে ১৬ ও ২৩ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার পৃথকভাবে আপিল বিভাগে দুইটি রিভিউ আবেদন জমা দিয়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আবেদনে যুক্ত হন। 

আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, পরপর তিন নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) প্রমাণিত হয়েছে, রাজনৈতিক দলের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া, মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী শিশির মনির।

Comments

The Daily Star  | English

Passport ranking 2025: Bangladesh shares100th place with Libya, Palestine

The ranking evaluates 199 passports and 227 travel destinations, assessing passport strength based on the number of countries citizens can visit without prior visa arrangements

18m ago