ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও অর্থপাচার রোধে আইএমএফের সহযোগিতা চেয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা

ব্যাংকিং খাত
সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাত সংস্কার, অর্থপাচার রোধ ও কর সংস্কারসহ উদ্বেগের মূল ক্ষেত্রগুলোতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, 'আমরা ব্যাংকিং খাত সংস্কার, অর্থপাচার মোকাবিলা ও কর সংস্কার বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা চেয়েছি।'

দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং অতিরিক্ত তহবিলের বিধানসহ সম্ভাব্য সংস্কার অনুসন্ধানের জন্য এক সপ্তাহব্যাপী সফরে এসেছে আইএমএফ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি।

এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোতে সমর্থন করার জন্য বাহ্যিক সংস্থানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের স্থানীয় সম্পদ যতটা সম্ভব ব্যবহার করব, তবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য আমাদের বিদেশি সহায়তার প্রয়োজন হবে।'

আইএমএফ প্রতিনিধি দলের এই সফরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জোরদার এবং সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সাপোর্টের পাশাপাশি ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কার নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, 'যেসব ক্ষেত্রগুলোতে আইএমএফের সহায়তা সবচেয়ে বেশি লাভজনক হতে পারে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।'

অর্থ উপদেষ্টা আইএমএফ প্রতিনিধি দলকে জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে তা পুরোপুরি বাস্তবায়নে সময়ের প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশ অক্টোবরে আইএমএফের সঙ্গে আরও আলোচনায় জড়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেসব আলোচনায় সহায়তা ও নীতি নির্দেশনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঋণদাতা সংস্থার নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া হবে।

এ ছাড়া, আইএমএফের প্রতিনিধি দল উচ্চ ভর্তুকি ব্যয়, ক্রমবর্ধমান মুল্যাস্ফীতির চাপ ও সরকারি ব্যয়ে সম্ভাব্য কর্তনের খাতগুলোসহ দেশের আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলো পর্যালোচনা করবে।

চলমান ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের পাশাপাশি বাজেট সহায়তার জন্য সরকার এরই মধ্যে আইএমএফের কাছে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Students suffer as NCTB fails to deliver books

Only 37% of 40.15cr textbooks distributed till first half of Jan

13h ago