মারামারিতে কয়েদির মৃত্যু, রংপুর কারাগারে উত্তেজনা, নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী

রংপুর কারাগারের সামনে সেনাবাহিনীর অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

রংপুর কারাগারে বন্দিদের মধ্যে মারামারিতে এক কয়েদি মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালের এ ঘটনার পর কারাগারে বন্দি  ও কারারক্ষীদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা গুলি করে। পরে সশস্ত্র বাহিনী কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মারামারিতে নিহত বাহারুল বাদশা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।

জেলা প্রশাসক জানান, সকালে কারা কমপ্লেক্সের একটি গাছ থেকে পড়া ফল নিয়ে কারাবন্দি বাহারুল বাদশা ও রফিকুল ইসলামের মধ্যে মারামারি হয়।

হঠাৎ বাদশা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর কারা হাসপাতালের এক নার্স তার পালস পরীক্ষা করেন পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুপুর ১২টার দিকে বাদশার মৃত্যুর খবর কারাগারে পৌঁছালে বন্দিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং কারাগারের ভেতরে বিক্ষোভ শুরু হয়।

সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারা নিরাপত্তারক্ষীরা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করার চেষ্টা করলে বন্দিরা তাদের ধাওয়া দেয়। 

পরে কারা নিরাপত্তা বাহিনী কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রংপুর কারাগারের সামনের এক দোকানদার ডেইলি স্টারকে জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি অনেক গুলির শব্দ শুনেছেন।

এ ঘটনায় দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

পরে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ নেন।

খবর পেয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ রংপুরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, 'রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

NBR revises VAT, SD on 9 items following public outcry 

NBR said it has slashed VAT on ready-made clothes, restaurants, sweets, non-AC hotels and motor workshops and mostly restored to the previous levels

1h ago