সাভারে শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্স

ছবি: সংগৃহীত

শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ায় টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে শিল্পকারখানাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে 'কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্সের' মাধ্যমে দ্রুত ঘটনাস্থলে টিম পৌঁছে যাবে বলেও আশ্বস্ত করেছে তারা।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় উইন্ডি গ্রুপের হলিউড পোশাক কারখানাসহ আশপাশের এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

স্প্যারো গ্রুপের ডিরেক্টর এবং বিজিএমইএর পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, 'আমাদের যেখানে শিল্প কারখানা আছে সেখানে নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সেল গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রচুর টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে শ্রমিকরা বুঝতে পারেন তাদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে সবাই নিরাপদে কারখানাগুলোতে কাজ করতে পারেন। আমাদের শ্রমিকরা কাজের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী। গতকালও ৮১ ভাগ খোলা কারখানায় ৯০ ভাগের বেশি শ্রমিক কাজ করেছেন। কাজেই আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই নির্ভয়ে খুশি মনে কাজে আসুন।'

'আমাদের এক্সেপোর্ট যাতে কোনোভাবেই ডিলে না হয়। বায়ারের কাছে যাতে কোনোভাবে আমাদের বলতে না হয় যে, আমরা এক্সেটেনশন চাই। আমাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটেছে- আমরা কোনোভাবেই সেটা বলতে চাই না। ব্র্যান্ড বাংলাদেশ একটা বড় ইমেজ। আগামীকালের মধ্যে আমাদের সব ফ্যাক্টরি চালু হয়ে যাবে', যোগ করেন তিনি।

সাভার সেনানিবাসের কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় ফ্যাক্টরি ও কলকারখানাগুলোতে টহল পরিচালনা শুরু করেছে। এর জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টাস্কফোর্স প্রতিটি সেক্টরে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। সেই সেক্টর অনুযায়ী জোন ভিত্তিক আমরা টহল পরিচালনা করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে দ্রুত এই অরাজকতা রোধ করা যাবে। ছোট ছোট বাহ্যিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বড় পরিসরে কিছু হলে আমাদের কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স যারা আছে, তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit 'genocide' case report against Hasina, ex-ministers

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

8m ago