চীন থেকে আগে ফেরা নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

সম্প্রতি চীন সফর শেষে আগে ফেরা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন দেশে সফরে অফিসিয়াল কাজ শেষ হয়ে গেলে তিনি যত তাড়াতাড়ি পারেন দেশে ফিরে আসেন।

আজ রোববার বিকেলে বঙ্গভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আমার মেয়েকে (সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) ওরা দাওয়াত দিয়েছিল ওদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ওর যাওয়ার কথা। কিন্তু সকাল থেকে ওর জ্বর হলো, যেতে পারেনি আমার সাথে। এটা বাস্তবতা।'

তিনি বলেন, 'আমি একজন মা। ওই অবস্থায় মেয়েকে রেখে আমাকে চলে যেতে হয়। আমাদের সব আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শেষ হয়ে যায়। আমাদের ১১ তারিখ এসে পৌঁছানোর কথা, ১১ তারিখেই এসেছি। বিকেলে আসতাম, আর্লি মর্নিং এসেছি। ৫-৬ ঘণ্টার পার্থক্য।'

'এই ছয় ঘণ্টার মধ্যেই তোলপাড় হয়ে যাবে, এটা তো বুঝতে পারিনি। তাছাড়া এটা নতুন নয়। এর আগে যখন ভারতে গেলাম, আমাদের তিন দিন বা চার দিনের প্রোগ্রাম ছিল। যখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বললেন উনি আসবেন, আমার দায়িত্বই ছিল উনি বাংলাদেশে যখন আসবেন তার আগে আমার ঢাকায় পৌঁছানো। পৌঁছে উনাকে আমি রিসিভ করব। আমি তখন ভারতের দুইদিনের প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করে চলে আসলাম। এসে উনাকে রিসিভ করলাম,' যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'পৃথিবীর বহু দেশে আমি যখন যাই, আমার যখন অফিসিয়াল কাজ শেষ হয়ে যায়, আমার তো শপিংয়েও যাওয়ার নাই, বেড়ানোরও কিছু নাই, আমি যত তাড়াতাড়ি পারি দেশে চলে আসি। এটা বহুবার আমি করেছি। যখনই আমি সুযোগ পেয়েছি আমি চলে আসছি।'

তিনি বলেন, 'এবার আমরা সব প্রোগ্রাম ৫টার মধ্যে শেষ করেছি। রাত ১০টায় আমাদের ফ্লাইট। আমরা এখানে এসে পৌঁছালাম চীনের সময় রাত আড়াইটায়। দুই ঘণ্টা আমরা সময় পেলাম। আগে এসে পৌঁছালাম। এটাকে এত রঙ এত কথা। যারা এ ধরনের কথা বলে তাদের জন্য দেশবাসী চিনে রাখে যে তারা এ ধরনের বানোয়াট কথাই বলে।'

গত সোমবার চীন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চার দি‌নের সফর শেষে বৃহস্পতিবার দে‌শে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সূচিতে প‌রিবর্তন এনে বুধবার রাতেই দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English
Drug sales growth slows amid high inflation

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

18h ago