মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ: তদন্ত কমিটির কাছে ৩ হাজারের বেশি অভিযোগ

ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
স্টার ফাইল ফটো

চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পরেও যারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে তিন হাজারের বেশি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কমিটি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করবে। যারা এই পরিস্থিতির জন্য প্রকৃতপক্ষে দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৩ জন বাংলাদেশির প্রবাসে কর্মসংস্থান হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুসারে, গত ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জনকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। এর পরে অনুমোদন দেওয়ার কথা না থাকলেও বিএমইটির তথ্য মতে, মন্ত্রণালয় আরও এক হাজার ১১২ জন বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অনুমোদন দেয়। মালয়েশিয়া সরকার মে মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশের সময় বেঁধে দিয়েছিল।

কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বলেন, উন্নয়নের পথে বাধা হচ্ছে মাদক, দুর্নীতি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার। শুধু কমান্ড দিয়ে, দুর্নীতি দমন কমিশন দিয়ে দুর্নীতি কমানো যাবে না। এর জন্য মহাকর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

কক্সবাজারের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মানুষকে আতঙ্কমুক্ত করতে বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন, স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষকে আরও জোরদার করার দাবি জানান ইবরাহিম। তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কক্সবাজার সীমান্ত থেকে একটু দূরে। সমগ্র জাতি ও বিশ্ব সেন্ট মার্টিনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা আশা করি, এ নিয়ে সংসদে কেউ না কেউ কিছু বলবেন। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মানুষের আতঙ্ক দূর করবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh eyes longer-term loans at fixed rates to manage debt better

The government aims to borrow more from the domestic sector at fixed rates and for longer periods and cut reliance on Treasury bills with a view to keeping debt risks lower and avoiding exchange rate volatility.

9h ago