রাসেলস ভাইপারে কাটা পাংশার কৃষক হাসপাতালে সেরে উঠছেন

সাপে কাটার পর তাকে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাকে সেখানে অ্যান্টিভেনম দিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মধু বিশ্বাস। ছবি: স্টার

রাজবাড়ীর পাংশায় রাসেলস ভাইপারের দংশনে অসুস্থ এক কৃষক চিকিৎসায় সেরে উঠছেন। গত শুক্রবার উপজেলার রামনগর চরে বাদাম তুলতে গেলে সাপে কাটে তাকে।

কৃষক মধু বিশ্বাসের (৫১) বাড়ি পাংশার চর-আফরা এলাকায়। সাপে কাটার পর তাকে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাকে সেখানে অ্যান্টিভেনম দিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হাসপাতালের পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন মধু বিশ্বাস। আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় বসে আছেন মধু। তার বাম হাতে স্যালাইন চলছে। বিছানার এক পাশে বসে আছে তার শাশুড়ি শুনাই বিবি। কেমন আছেন জানতে চাইলে হাসি মুখে বললেন, 'অনেক ভালো। এখানে ভালো চিকিৎসা পেয়েছি। আগামীকাল বাড়িতে যেতে পারব।'

মধু জানান, 'শুক্রবার সকালে রামনগর চরে বাদাম তুলতে গিয়েছিলাম। কাজ শুরু করার পর আমার ডান হাতে সাপটি কামড়ে দেয়। সাপটিকে পিটিয়ে আধমরা করে পদ্মা নদী পার হয়ে একটা মোটরসাইকেলে করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানে জানতে পারি সাপটির নাম রাসেলস ভাইপার।'

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আহমদ জানান, মধুকে গত শুক্রবার অ্যান্টিভেনম দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এই হাসপাতালের উপ-পরিচালক দীলিপ কুমার বিশ্বাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মধু বিশ্বাসের শারীরিক অবস্থা ভালো। আমরা প্রতিদিন রক্ত পরীক্ষা করে দেখছি তার শরীরে অন্য কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা পাইনি। আশা করছি আগামীকাল বাড়িতে যেতে পারবেন তিনি।'

তিনি আরও বলেন, যেকোনো সাপ দংশন করার সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তার সুস্থ হবার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ।

Comments