ঘোষণা প্রত্যাহার, রাসেলস ভাইপার ধরলে পুরস্কার দেবে না ফরিদপুর আ. লীগ

রাসেলস ভাইপার স্থানীয়ভাবে চন্দ্রবোড়া ও উলুবোড়া নামেও পরিচিতি। ছবি: সংগৃহীত

রাসেলস ভাইপার সাপ জীবিত ধরে বন বিভাগে জমা দিলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।

গত ২০ জুন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক রাসেলের এ ঘোষণার পর জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন গ্রামে। 

আজ রোববার দুপুরে শহরের কমলাপুর এলাকায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অফিসে অ্যালুমিনিয়ামের হাড়িতে করে দেড় ফুট দৈর্ঘ্যের একটি রাসেলস ভাইপারের বাচ্চা নিয়ে হাজির হন ফরিদপুর সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের রেজাউল করিম (৩৯)। 

গতকালও তিনটি রাসেলস ভাইপারের বাচ্চা জমা দেওয়া হয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে। 

বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্যপ্রাণি ধরার ও জমা নেওয়ার নিয়ম নেই। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফোন করে সাপ জমা রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর আমরা জমা রেখেছি।'

তিনি বলেন, 'যে সাপ তিনটি জমা পড়েছে সেগুলো বাচ্চা। কোনোটিই এক ফুট থেকে দেড় ফুটের বেশি নয়। পুরষ্কারের আশায় ফরিদপুর সদরের আলীয়াবাদ ও অম্বিকাপুর ইউনিয়ন থেকে সাপ তিনটি ধরা হয়। কাচের, প্লাস্টিকের পাত্রে কিংবা অ্যালুমিনিয়ামের হাড়িতে করে সেগুলো বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ে আসা হয়।' 

জানতে চাইলে ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে নেই। আইন অনুযায়ী সাপ ধরা যাবে না।'

অবশেষে বন বিভাগের পরামর্শে আজ রোববার সাপ ধরার ঘোষণা প্রত্যাহার করেছে ফরিদপুর আওয়ামী লীগ। দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলী আশরাফ পিয়ারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণার পর থেকে এলাকায় সাপ ধরার ঘটনা ঘটছে। বন বিভাগ বলেছে, সাপ ধরার বিধান আইন বহির্ভূত। আমরা আমাদের পুরস্কার সম্পর্কিত ঘোষণা প্রত্যাহার করেছি।'

 

Comments

The Daily Star  | English

65% of suicide victims among students are teenagers: survey

At least 310 students from schools, colleges, universities and madrasas died by suicide last year

2h ago