এত অল্প সময়ে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির ঘটনা নজিরবিহীন: নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

এত অল্প সময়ে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির ঘটনা নজিরবিহীন: নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

জলদস্যুদের কবল থেকে এত অল্প সময়ে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির ঘটনা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা ঈদের আগেই তাদের মুক্তি করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। তবে আশ্বাস পেয়েছিলাম এ মাসের মধ্যেই তারা মুক্ত হবেন।'

তিনি বলেন, 'এবার নববর্ষের দিন তাঁরা মুক্তি পেলেন। ক্রুদের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি পুরো বাংলাদেশ এখন খুশি।'

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে খালিদ বলেন, 'মুক্তিপণ বা টাকা-পয়সার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এই ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নেই যে টাকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনা হয়েছে। অনেকেই ছবি দেখাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের, এই ছবিগুলোরও কোনো সত্যতা নেই। কারণ ছবি কোথায় আসছে, কীভাবে আসছে আমরা জানি না।'

যেসব দেশ সহযোগিতা করেছে, তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা তাদের (জলদস্যু) সঙ্গে সমঝোতা করেছি, দীর্ঘ দিন কথা-বার্তা চলেছে। এখানে মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই। আলাপ-আলোচনা এবং বিভিন্ন ধরনের চাপ আছে এখানে, সেই চাপগুলো এখানে কাজে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে এটা (জাহাজ) তাদের জলসীমায় নেওয়া হয়েছে। কাজেই জলদস্যুরা একদম সর্ব শক্তিমান ব্যাপারটা তা নয় তো!

'এত দিন আমরা যে সময়টা নিয়েছি, ইউরোপীয়ান নেভাল ফোর্স থেকে শুরু করে অন্যান্য যারা আছেন; এরা (জলদস্যু) ভীষণ চাপের মধ্যে ছিল। বিশেষ করে সোমালিয়ান পুলিশের বিরাট চাপ ছিল—তারা চায়, জলদস্যুদের হাত থেকে সমুদ্র পথটা নিরাপদ করতে এবং এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনও তারা নিচ্ছে। তারা একটা পরিকল্পনা করছে যে, ভবিষ্যতে যেন এই রুটটা নিরাপদ থাকে। সারা বিশ্বে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কারণে একটি দেশের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে, এটা তারা উপলব্ধি করছে,' বলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক চাপের মাধ্যমে মুক্তিপণ ছাড়াই নাবিক ও ক্রুদের মুক্ত করা হয়েছে কি না স্পষ্ট করে জানতে চাইলে খালিদ গণমাধ্যমকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক চাপ ও নেগোসিয়েশনও আছে; আলোচনা যেটা করেছি। তাদেরও জীবনের নিরাপত্তার ব্যাপার ছিল।'

তিনি বলেন, 'তাদের ওপর চাপ সার্বক্ষণিক ছিল এবং চরম পর্যায়ে গেয়েছিল। সেই কারণেই তারা সেখান থেকে নেমে গেছে। চাপটা এত ছিল, তারা যখন জাহাজটা নিয়ন্ত্রণে নেয় সেখানে ২০ জন ছিল জলদস্যু। গতকাল যখন তারা জাহাজ ছেড়ে যায়, ইতোমধ্যে প্রায় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজে অবস্থান নিয়েছিল।'

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago