গরমে বেড়েছে তরমুজের চাহিদা, বেড়েছে দামও

গত সপ্তাহের তুলনায় তরমুজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। 
কারওয়ান বাজারে তরমুজ কিনছে মানুষ। ছবি: স্টার

চৈত্র মাস শেষ দিকে, গ্রীষ্ম আসন্ন। বাড়ছে গরম, সেইসঙ্গে বাড়ছে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের চাহিদা।

আর চাহিদা বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে তরমুজের দাম। প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। 

গত সপ্তাহে ঢাকার খুচরা বাজারে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হয়।

কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৩৫-৫০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।

আজ বিকেলে কারওয়ান বাজারে গিয়ে তরমুজের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। অনেক আড়ৎদার জানান, তাদের তরমুজ সব বিক্রি হয়ে গেছে।

পূর্ব তেজতুরি বাজারের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ পাঁচ কেজির বেশি ওজনের একটি তরমুজ কেনেন ২০০ টাকায়। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একই আকারের তরমুজ গত সপ্তাহে ১৫০ টাকায় কিনেছি। এরপর আর তরমুজ খাইনি। কিন্তু গরম পড়ায় তরমুজ খেতে ইচ্ছা হলো বলে কিনে নিলাম।'

রোজার প্রথম দিকে অবশ্য তিনি নিয়মিত তরমুজ কিনেছেন। তখন দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা ছিল বলে জানান।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ মার্চ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে আজ ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।   

ছবি: স্টার

মিরপুরের শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়ার বাজারগুলোতে বড় আকৃতির তরমুজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়, যেগুলো গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। 

ব্যবসায়ী জানান, তরমুজ বিক্রির সঙ্গে গরমের সম্পর্ক আছে। গরম বাড়লে, মানুষের তরমুজ খাওয়ার চাহিদা বাড়ে।

কারওয়ান বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী রিজু সরদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত দুই-তিন দিনের গরমে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। তবে সেই তুলনায় দাম বাড়েনি।'

তার দোকানে থাকা তরমুজগুলোর ওজন ৮-১২ কেজির মধ্যে। গত সপ্তাহে এই আকৃতির তরমুজ প্রতিটি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জানান।

তবে একই আকারের তরমুজ আজ বিক্রি করেন ৩৫০-৪০০ টাকায়।

এই ব্যবসায়ী বলেন, 'গত সপ্তাহের তুলনায় তরমুজ বিক্রি প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। আগের সপ্তাহে দিনে যেখানে ২০-৩০টি তরমুজ বিক্রি করেছি, সেখানে এ সপ্তাহে বিক্রি ১০০ ছাড়িয়ে গেছে ইতোমধ্যে।'

তিনি আরও বলেন, 'তরমুজ বয়কট বলে একটা প্রচারণা চলছে। এ কারণেই চাহিদা বাড়লেও, আমরা সেভাবে দাম বাড়াতে পারিনি।'

Comments