‘তরমুজ ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর নেই’
তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতার অভাবে অনেক তরমুজ বিক্রি হচ্ছে না।
ঈদ ঘিরে লোকসানের আশঙ্কা করছেন ঢাকার তরমুজ ব্যবসায়ীরা।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে তারা ৩০-৪০ টাকা কেজিতে তরমুজ বিক্রি করছেন।
তবে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা দরে। কোথাও কোথাও ১৫ টাকার নিচেও বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাতে কারওয়ান বাজারে তরমুজের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, অনেক তরমুজ পড়ে রয়েছে। নষ্ট তরমুজও দেখা গেছে সেখানে।
বৃহস্পতিবার ভোলা থেকে তরমুজ এনেছিলেন আমিনুল ইসলাম। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃষ্টিতে তরমুজ পানির মধ্যে ছিল। দুই ট্রাকে এনেছি ছয় হাজার পিসের মতো। ক্রেতা সেভাবে পাইনি। প্রথম দিন কিছু বিক্রি হয়েছে। কেনা পড়েছে ১১০ টাকা করে, বাকি খরচ মিলিয়ে ১২০ টাকা।'
'প্রথম দিন ১৩০ টাকা করে পিস বিক্রি করেছি। এরপর তরমুজ পচতে শুরু করেছে। বেচতে পারিনি। অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে,' বলেন তিনি।
শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে দেখা যায়, পচা-ভালো মিলে ৪০ টাকা করে পিস বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ তরমুজই নষ্ট হয়ে গেছে।
আরেক ব্যবসায়ী জানান, যে পরিমাণে তরমুজের সরবরাহ আসছে, সে অনুপাতে বিক্রি হচ্ছে না, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তারা বলছেন, ফেসবুকে ও গণমাধ্যমে মানুষের তরমুজ বিরোধী অবস্থানের কারণে বিক্রি কমে গেছে।
কারওয়ান বাজারের ফল ব্যবসায়ী শের আলি ডেইলি স্টারকে বলেন, '১০-১২ দিন আগেও যা বিক্রি হতো, এখন বিক্রি আরও কমে গেছে। অথচ এখনই তরমুজের সিজন। কয়েকদিনের বৃষ্টি, আবার মাস শেষ। নতুন মাসের বেতনে ঈদের পোশাক কেনাকাটা করবে মানুষ। সবমিলিয়ে তরমুজ ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো সুখবর নেই।'
কারওয়ানবাজারের কাঁচামালের আড়তদার মাহবুবুর রহমানকে দেখা গেল তরমুজ কিনতে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'গরম না পড়লে তরমুজ খাওয়া হয় না। দাম কম পেয়ে একটা নিয়ে যাচ্ছি। একসঙ্গে কয়েকজন মিলে ইফতার করি। সেজন্য ১০০ টাকা দিয়ে একটা নিলাম। ৫ কেজি হবে ওজনে, সস্তাই মনে হলো।'
কারওয়ান বাজার ছাড়াও কচুক্ষেত, ইব্রাহিমপুর, মিরপুর-১৪ এলাকার বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই কেজি ছাড়াও পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছে। তুলনামূলকভাবে ছোট সাইজ ৪-৫ কেজি ১০০-১২০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে কারওয়ানবাজারে। অন্য বাজারে ১২০-১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
Comments