মুক্তিপণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না: কেএসআরএম

সোমালি জলদস্যুর কবল থেকে মুক্তির পর এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। ছবি: এক নাবিকের পরিবারের কাছ থেকে সংগৃহীত

জলদস্যুদের দেওয়া শর্ত পূরণ করায় ২৩ নাবিকসহ জিম্মি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ছাড়িয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ জানিয়েছে।

দস্যুদের কবল থেকে জাহাজটি মুক্তি পাওয়ার পর আজ রোববার দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কেএসআরএমের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ কথা বলেন।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। ঘটনার ৩২ দিন পর আজ ভোরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্তি পেয়েছে।

জলদস্যুরা মুক্তিপণ পেয়ে জাহাজটিকে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেলেও, কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, 'জলদস্যু ও জাহাজের মালিক সংস্থার প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। পরে বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা ৮ মিনিটে জাহাজ ও নাবিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়।'

'চুক্তির শর্তগুলো গোপনীয়' বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কত টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে জলদস্যুরা জাহাজটিকে ছেড়েছে এবং কীভাবে মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্ন করা হলে মেহেরুল উত্তর দিতে রাজি হননি।

তিনি বলেন, 'চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মুক্তিপণের বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।'

'আমি ক্ষমা চাই। চুক্তির গোপনীয়তার শর্ত অনুযায়ী এ (মুক্তিপণ) নিয়ে কিছু শেয়ার করতে পারব না,' বলেন মেহেরুল।

জলদস্যুদের দেওয়া চুক্তির শর্তাবলী সম্পর্কেও বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।

এর আগে, মুক্তি পাওয়ার পরপর বেশ কয়েকজন নাবিক তাদের পরিবারকে জানান যে, একটি ছোট উড়োজাহাজ থেকে মুক্তিপণের টাকা ভর্তি তিনটি ব্যাগ জাহাজের কাছে সমুদ্রে ফেলা হয়। পরে স্পিডবোটে থাকা জলদস্যুদের একটি দল ব্যাগগুলো সংগ্রহ করার পরে মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এদিকে দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়েছে সোমালি জলদস্যুরা।

এছাড়া, সোমালিয়ার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি সোমালিয়া এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে একই তথ্য জানিয়েছে।

কিন্তু জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান এমভি আব্দুল্লাহর কর্মকর্তারা বলেন, 'আইনি উপায়ে সবকিছু করা হয়েছে। শিপিং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সব আইন মেনে আমাদের সমঝোতায় যেতে হয়েছে। এর মধ্যে, ব্রিটিশ, মার্কিন, কেনিয়ান ও সোমালিয়ান আইনি ধারাও মানতে হয়েছে। সব মিলিয়ে সমঝোতা চুক্তির সবকিছু প্রকাশ করা সম্ভব নয়।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Tk 3 lakh recovered from a flat used by Riyad

Riyad and four other people were arrested on extortion charges in the residence of former Awami League lawmaker Shammi Ahmed on Friday

57m ago