রোজায় সরকারি খরচে বড় ইফতার পার্টি নয়, নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

পবিত্র রমজান মাসে সরকারি খরচে বড় আকারে ইফতার পার্টি আয়োজন না করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বেসরকারিভাবেও এ ধরনের ইফতার পার্টি আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করেছেন সরকার প্রধান।

পবিত্র রমজান মাসে সরকারি খরচে বড় আকারে ইফতার পার্টি আয়োজন না করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বেসরকারিভাবেও এ ধরনের ইফতার পার্টি আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করেছেন সরকার প্রধান।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক থেকে এসব নির্দেশনা দেওয় হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ বা ১৩ মার্চ থেকে মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হতে যাচ্ছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানান।

মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশনা আছে, রমজান মাসে সরকারিভাবে বড় ধরনের ইফতার পার্টি করা যাবে না। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেসরকারিভাবেও ইফতার পার্টি করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারো যদি এ ধরনের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা থাকে তাহলে যেন সেই টাকায় খাবার কিনে গরিব মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারির বছর থেকে সরকারিভাবে এ ধরনের অনুষ্ঠানে আয়োজনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় এবারো নির্দেশনা এল। কেন ইফতার পার্টি না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'ইফতার পার্টি করারই বা কারণ কী, এটি কি বলতে পারেন? এটি কখনোই ধর্মীয় ইস্যু নয়।'

মাহবুব হোসেন বলেন, 'আমরা যেন অপচয় না করি। আমরা যেন লোক দেখানো কার্যক্রমে নিজেদের নিয়োজিত না করি। তার বদলে ওই টাকাটা যদি আপনি কারও কল্যাণে ব্যবহার করতে চান, গরিব মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন। আমি-আপনি বসে খেলাম, ওখানে অনেক খাদ্যের অপচয় হলো, অর্থের অপচয় হলো, এটার তো ধর্মীয় দিক থেকেও যুক্তি থাকতে পারে না।'

কতজনের আয়োজন করলে সেটাকে 'বড় আকারের ইফতার পার্টি' বলা হবে এমন কোনো ব্যাখ্যা মন্ত্রিপরিষদ সচিব দেননি।

Comments