ভাজাপোড়ার পরিবর্তে ইফতার-সেহরিতে যা খেতে পারেন
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2023/04/06/ifter.jpg)
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে তেলে ভাজা খাবার খেয়ে অনেকেরই সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, জাঙ্কফুড স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হতে পারে 'মোমো'। মোমো স্বাদে যেমন জনপ্রিয়, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর উপাদানেও পূর্ণ। স্টিম মোমোতে প্রায় সব সবজির পুষ্টিগুণই থাকে। তেলে ভাজা হয় না এবং পুড়ে যায় না বলে উপাদানগুলোর পুষ্টিগুণ থাকে প্রায় অক্ষুণ্ণ।
এক্ষেত্রে তাজা মাংস, গাজর বাধাকপির মতো সবজিও ব্যবহার করা হয়। যা মূলত শরীরের বেশ কয়েকটি খাদ্য উপাদানের ঘাটতি মেটায়। আর রোজার সময় শরীরে শক্তি জোগায়। খেয়াল করতে হবে মোমোয় ব্যবহৃত মাংস যেন টাটকা থাকে।
ইফতারের সময় কিংবা ইফতারে খুব ভারী খাবার খাওয়া হলে সেহরিতে রাখতে পারেন- চিয়া সিড, ওটস, টক দইয়ের মিশ্রণ। সঙ্গে দিতে পারেন কয়েক রকম নরম ফল ও খেঁজুর। থাকতে পারে একটি বা ২টি সিদ্ধ ডিম। টক দইয়ে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রোবায়োটিক। বড় একটি সিদ্ধ ডিমে আছে ৭২ ক্যালরি মানের পুষ্টি। সব বয়সের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিম অত্যন্ত কার্যকরী।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্যমতে, একটি সিদ্ধ ডিমে ২১২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। তবে এটি এইচডিএল বা গুড কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত। ইউরোপ পিএমসি'র ৪২ মিলিয়ন প্রকাশনার মাঝে একটি বলা হয়েছে- এইচডিএল বা গুড কোলেস্টেরল হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ, অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমায়।
ইফতারের শুরুতে অতিরিক্ত তেলে ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চিড়া, কলা কিংবা ওটস, দুধ, কলা এ জাতীয় সুষম ও ঠাণ্ডা খাবার দিয়ে শুরু করতে পারেন। গরমে স্বস্তি ও সুস্থতা উভয়ই পাওয়া যাবে। চিড়া বা ওটস দুটোই জটিল শর্করা যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং একটি কলা থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম ও আয়রন পাওয়া যায়।
ভোজনরসিকদের ক্ষেত্রে সিদ্ধ খাবার খাওয়া শাস্তির মতো মনে হলেও পছন্দমতো অনেক শাক সবজি সিদ্ধ বা ভর্তা করে খেতে পারেন। এতেও এড়ানো যায় তেলে ভাজা খাবারের জটিলতা।
ভারতের শীর্ষ স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট হেলথসাইট ডট কম এর তথ্যানুযায়ী, সেদ্ধ খাবার ওজন কমায়, অ্যাসিডিটি কমায়, সহজপাচ্যও বটে।
Comments