ইতালিতে ভেনিস বাংলা স্কুলের ইফতার

ইতালির ভেনিস বাংলা স্কুলের ইফতার ও আলোচনায়  প্রায় ৩০ জন ইতালীয় শিক্ষক, সাংবাদিক এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
ইতালির ভেনিস বাংলা স্কুলের ইফতার ও আলোচনায় প্রায় ৩০ জন ইতালীয় শিক্ষক, সাংবাদিক এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত

ইতালির ভেনিস বাংলা স্কুল গতকাল শনিবার ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। এসময় বাংলাদেশসহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়।

ভেনিস বাংলা স্কুলের নিজস্ব কার্যালয়ে ইফতারের পাশাপাশি স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ারের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।

এ অনুষ্ঠান ও আলোচনার সময় প্রায় ৩০ জন ইতালীয় শিক্ষক, সাংবাদিক এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইফতার মাহফিলে বক্তৃতা করেন স্কুল কমিটির সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার এবং গবেষক কামরুল হাছান।

কামরুল হাছান এসময় ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরে ইসলামের ৫ স্তম্ভের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রোজার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য উল্লেখ করে বলেন, রোজা আমাদের আত্ম সংযম বা আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখায়। যা বিশ্ব মানব সভ্যতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি রোজার আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক দিকসহ মুসলিম নারীদের হিজাব ব্যবহারের বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করেন।

কামরুল হাছান যোগ করেন, ইতালিয় সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ইতালিতে বসবাসকারী সকল ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন, প্রচার এবং উদযাপন করতে পারবে। কিন্তু মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদের দিনে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ছুটি দেয়া হয় না। কর্মজীবীদের বাধ্যতামূলক কাজে যেতে হয়। এতে সামাজিক এবং ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টি হয়। যা মুসলিমদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। ইতালি সরকারের উচিৎ এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা। 

অপর আলোচক প্রকৌশলী লিয়ন শরিফ বলেন, 'ইসলাম বুঝতে হলে কুরআন, হাদিসের কাছে যেতে হবে। পড়াশোনা করতে হবে।'

'ইতালীয় গণমাধ্যমে রোজাকে "রমাদান" হিসাবে উল্লেখ করা হয়, যা সঠিক নয়। রমাদান একটি মাসের নাম। এ মাসে মুসলিমরা রোজা রাখেন। সুতরাং রোজা বা সওম বললে তা সঠিক হবে', যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন, মারতা লাভারা ফাচ্চিনি, জাকমো বেল্লাতো, সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, আনতোনিয় স্পানো, আলেসসানদ্রো, জান্নি দাল্লা পেল্লেগ্রিনা, জাদা, ক্লাউদিয়া মানতোভান, মানুয়েলা যোরদানা, আকতার উদ্দিন, মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেল, আনদ্রেয়া অনোরি, ভালেরিয়া তোনিয়লি, আলেসসানদ্রা বারদেল্লি, গাবরিয়েলে মালুতা, মারিয়া কারমেলা, সেরজো, ফাবরিচ্ছিয়, লাওরা, মিকেয়লা, কাজী টিপু, জানফ্রাংকো বোনেচ্ছো, ইকবাল হাসান, ফিয়রিনা মাসুম, লোরেনছো পোরচিলে, প্রমূখ।

আলোচনা শেষে গাজার দুর্দশাগ্রস্তত ফিলিস্তিনিদের জন্য এবং বিশ্বশান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

বিরিয়ানিসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহি বিভিন্ন পদের ইফতার পরিবেশন করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Growth of economic units slows amid capital shortages

The growth in the number of economic units in Bangladesh has slowed over the past decade, primarily due to capital shortages among rural entrepreneurs, according to the latest Economic Census of the Bangladesh Bureau of Statistics.

8h ago