চট্টগ্রামে হকার-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০

হকারদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি করে। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে হকার ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এতে পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। হকারদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের সময় প্রায় ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

হকাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই এলাকার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

হকাররা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদ করে।

চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীরন হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হকাররা বিক্ষোভ করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। তিন হকারকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।'

'উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদ করায় হকার নেতা মো. মাসুমকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর হকাররা উত্তেজিত হয়ে নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ করে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'পুলিশ বিক্ষোভকারী হকারদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং একপর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তারা শটগান দিয়ে গুলি চালায়।'

এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি দাবি করে ওসি ওবায়দুল হক বলেন, 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগান থেকে গুলি ছুড়লেও কেউ গুলিবিদ্ধ হননি।'

'তাদের ইট-পাটকেলের আঘাতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন,' বলেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা পুলিশকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা রাস্তা ও ফুটপাথ থেকে হকারদের উচ্ছেদ করেতে অভিযান চালাচ্ছিলাম। কিন্তু হকাররা এতে বাধা দেয় এবং ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago