অফিস সময়ে গুলিস্তানে হকার বসতে পারবে না

হকারদের কারণে প্রায়ই যানজট ও পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ছবিটি গতকাল গুলিস্তান এলাকা থেকে তোলা। ছবি: পলাশ খান

রাজধানীর গুলিস্তান ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে অফিস চলাকালীন সময়ে হকাররা আর তাদের পণ্য নিয়ে বসতে পারবেন না। ফুটপাথ ও সড়কে চলাচলের বাধা দূর করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

নগর ভবনে দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন হকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জানান, সপ্তাহের কর্মদিবসে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর নির্ধারিত কিছু পয়েন্টে বসতে পারবেন হকাররা।

হলিডে মার্কেটের মতো নির্ধারিত জায়গাগুলোতে শুক্রবার সারাদিন বেচাকেনা করতে পারবেন হকাররা। আর যেসব এলাকায় অফিস মার্কেট শনিবার বন্ধ থাকে সেখানেও হকারদের বসতে দেওয়া হবে।

মেয়র বলেন, যারা এই সিদ্ধান্ত মেনে চলবে না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহযোগিতায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হকার পুনর্বাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা গুলিস্তান এলাকার আড়াই হাজার হকারের তালিকা করেছি এবং শিগগিরই তাদেরকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।” এদের মধ্যে যারা পেশা পরিবর্তন বা বিদেশে যেতে আগ্রহী দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের সহযোগিতা করবে, যোগ করেন মেয়র।

এছাড়াও ‘লাইনম্যান’ নামে পরিচিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র। তিনি জানান, চাঁদাবাজদের একটি তালিকা তিনি সংগ্রহ করেছেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিএমপিকে বলা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, সিটি করপোরেশনের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ওই এলাকায় যানজট ও পথচারীদের হয়রানি অনেকখানি কমে যাবে।

সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে হকার নেতারা যত দ্রুত সম্ভব পরিচয়পত্র প্রদান ও পুনর্বাসন কাজ শুরু করতে মেয়রের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশ হকার ফেডারেশনের সভাপতি এমএ কাশেম বলেন, হকাররা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহী হবে যদি সিটি করপোরেশন তাদের উদ্বুদ্ধ করতে সেমিনারের আয়োজন করে। সেই সঙ্গে লাইন ম্যানদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার তাগাদা দেন তিনি।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
government bank borrowing target

Govt to give special benefits to employees, pensioners from July 1

For self-governing and state-owned institutions, the benefit must be funded from their budgets

39m ago