গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাইদ আল-কাহতানি আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, 'ওআইসির সদস্য দেশগুলোকে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।'

বাংলাদেশে কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাইদ আল-কাহতানি আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

করিম বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং কাতারের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে কাতারের রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনার কাছে ৪ থেকে ৬ মার্চ, ২০২৪ তারিখে কাতারে অনুষ্ঠেয় অষ্টম দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে (ডিআইএমডিইএক্স) যোগদানের জন্য আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।

আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন।

প্রদর্শনীটি প্রতি দুই বছর অন্তর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হয়।

গাজা ইস্যু সম্পর্কে সেরায়া আলি মাহদি সাঈদ জানান, এই বছর তার দেশ ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস উদযাপন করেনি এবং জাতীয় দিবসের উৎসব অনুষ্ঠানের বাজেট ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গাজার জনগণের জন্য পাঠিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য শুকনো খাবার ও কাপড়সহ ত্রাণ সামগ্রীও পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, এমনকি বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস পাস করা ফিলিস্তিনি চিকিৎসকবৃন্দ এখন ফিলিস্তিনের হাসপাতালে কাজ করছেন।

কাতারের রাষ্ট্রদূত বলেন, কাতারভিত্তিক আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক গাজা ইস্যুতে সংবাদ প্রচার করছে বলে বিশ্ব গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন।

প্রেস সচিব শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, 'আমরা অতি দ্রুত আমিরকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় আছি।'

কাতারের আমির ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নিকট থেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী গাজা ইস্যুতে উদ্যোগ নেয়ার জন্য কাতার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

11h ago