আরও ১১০ ইউএনও, ৩৩৮ ওসিকে বদলির প্রস্তাব ইসিতে

ঢাকায় ২৭ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার

নির্বাচন কমিশনের চাওয়া অনুযায়ী আরও ১১০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে সরকার। 

এই কর্মকর্তারা তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ১ বছরের বেশি কিন্তু ২ বছরের কম সময় ধরে আছেন। 

নির্বাচন কমিশন ও মাঠ প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৪৭ ইউএনওকে বদলি করা হয়েছে। 

এবার আরও ১০০ জনের বেশি কর্মকর্তাকে বদলির প্রস্তাব করা হলো। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক বছরের বেশি কর্মস্থলে কাটানো ইউএনওর সংখ্যা ২০০ জনের মতো। 

শিগগির তৃতীয় ধাপে আরও কয়েকজন ইউএনওকে বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে পারে সরকার। তেমন প্রস্তুতিই নেওয়া হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।

দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তাবে সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগের ২৯ জন ইউএনও বদলি হচ্ছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তালিকায় রাজশাহী বিভাগের ১৭ ইউএনও বদলি হচ্ছে। 

এর বাইরে ঢাকা বিভাগের ১৬, সিলেটের ১৪, খুলনার ১০, ময়মনসিংহের ৯, বরিশালের ৮ ও রংপুর বিভাগের ৭ জন ইউএনওর নাম বদলির তালিকায় আছে বলে জানা গেছে।

তালিকাটি ইসি চূড়ান্ত করলেই এটি বাস্তবায়ন শুরু করবে সরকার।

এর আগে, জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে প্রশাসন ও পুলিশের ওসিদের বদলির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

এর অংশ হিসেবে বর্তমান কর্মস্থলে এক বছরের বেশি সময় থাকা ইউএনও এবং ছয় মাসের বেশি সময় থাকা ওসিদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর জন্যে বলা হয়েছে।

ওসিদের তালিকা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলা হলেও, সময়সীমা আরও তিন দিন সময় বাড়িয়ে ৮ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

ইউএনওদের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে মাঠ প্রশাসনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সব বিভাগ থেকে ইউএনওদের তালিকা তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে দুই বছরের বেশি ইউএনও হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তাদের বদলি হয়ে গেছে। 

দ্বিতীয় ধাপের বদলির তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয় ধাপে আরেকটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হতে পারে শিগগির। তবে শেষ ধাপে কতজনের তালিকা পাঠানো হবে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায় নি।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রথমে এক বছরের বেশি সময় কোনো কর্মস্থলে কাজ করা ইউএনওকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পর্যায়ক্রমে সব ইউএনওকে বদলি করতে বলা হয়। 

এ বিষয়ে সূত্র বলছে, নির্বাচন কমিশন প্রথমে মাঠ প্রশাসনে অভিযোগ ছাড়া বদলি হবে না বলে জানিয়েছিল। এরপর হঠাৎ করে সব ইউএনও ও ওসিদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। 

তবুও নির্বাচনকালীন সময় বলে ইসির প্রাথমিক সিদ্ধান্তকে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করছে সরকার। কিন্তু সব ইউএনওকে বদলি করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানা গেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

2h ago