শান্তি কমিটির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে রাজি কেএনএফ
বান্দরবানে চলমান সংঘাত নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত শান্তি কমিটির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শান্তি কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
তিনি বলেন, 'দ্বিতীয় বৈঠকের পর কমিটির সব সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেএনএফকে আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে সরাসরি আলোচনার আহ্বানে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। শান্তি কমিটির পাঠানো চিঠির জবাবে আমাদের সঙ্গে সরাসরি বসার সম্মতি জানিয়ে কেএনএফের পক্ষ থেকে একটি চিঠি এসেছে।'
তবে বৈঠকের তারিখ, সময় ও স্থান এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
পরিবেশ পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অক্টোবরে প্রথম সপ্তাহে এ বৈঠক হতে পারে বলে জানান কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা।
তিনি বলেন, 'এই শান্তি আলোচনায় কেএনএফের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নাথান বমও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছে শান্তি কমিটি।'
মুখোমুখি আলোচনায় কেএনএফের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী সরকারের প্রতিনিধি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়কসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তিনি।
২০২২ সালের শুরুর দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানা যায়।
সংগঠনটি বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, খুমি ও ম্রোদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাইছড়ি, বিলাইছড়ি ও বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদমসহ ৯টি উপজেলা নিয়ে 'কুকি-চিন রাজ্য' গঠনের দাবি এই সংগঠনের এবং তারা একপর্যায়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়ায়।
এতে এসব এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল করতে ৩০ মে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি করা হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।
গত ১৯ জুলাই ও ৫ আগস্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের মধ্যে দুটি ভার্চুয়াল সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
Comments