‘কেএনএফ ও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী জড়িত নয়’

ম্রো, লুসাই, খুমী, খেয়াং ও পাংখোয়া
বুধবার বান্দরবান অরুণ সারকি টাউন হলে ম্রো, লুসাই, খুমী, খেয়াং ও পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর নেতারা সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান জানান। ছবি: সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এবং জঙ্গি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কেউ জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নেতারা।

আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কেএনএফের দাবি প্রত্যাখ্যান করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা।

সকালে বান্দরবান অরুণ সারকি টাউন হলে ম্রো, লুসাই, খুমী, খেয়াং ও পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর নেতারা সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান জানান।

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন আবির্ভূত হয়েছে। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তিনটি পার্বত্য জেলার বম, পাংখোয়া, লুসাই, ম্রো, খুমী ও খিয়াং জাতির সমন্বয়ে এই সশস্ত্র সংগঠন গঠিত হয়েছে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের বলে দাবি করে কেএনএফ। যা সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেন পাহাড়ি নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে নেতারা বলেন পাংখোয়া, লুসাই, ম্রো, খুমী ও খিয়াং কেএনএফের সশস্ত্র আন্দোলনের সাথে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয় এবং কেএনএফ এইসব জনগোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করে কখনো কুকিচিন রাজ্য, কখনো বা খ্রিষ্টান রাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিরোধীতা করে এবং বান্দরবান জেলার সাধারণ জনগণ ও জনমতকে বিভ্রান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে বান্দরবান জেলার জাতিগত বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, কেএনএফের কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ নেই। সমাজের অলস, অসেচতন ও মাদকাসক্তরা এর সঙ্গে জড়িত। কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কারণে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার জনসাধারণ, জুমচাষীরা কোনো কাজকর্ম করতে পারছে না। একদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাপ আর অন্যদিকে কেএনএফের চাপ।

এ অবস্থায় মানুষ খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে জানিয়ে যারা সন্ত্রাসী তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লুসাই জাতিগোষ্ঠী থেকে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক থানজামা লুসাই, ম্রো জাতি গোষ্ঠী থেকে থানছি উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো, খিয়াং জাতিগোষ্ঠী থেকে ম্রা সা খিয়াং, খুমী জাতি গোষ্ঠী থেকে সিং ইয়ং খুমী ও লেলুং খুমী প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English