বিদেশে সম্পদ নিয়ে তদন্তের আদেশ প্রত্যাহারে এস আলমের আবেদন খারিজ

এস আলম গ্রুপের আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর বেঞ্চে মৌখিকভাবে আবেদন করেন। জবাবে আদালত বলেন, আদেশ ইতিমধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে তাই এটি প্রত্যাহার করার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ার অভিযোগের তদন্ত করতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন তা প্রত্যাহার চেয়ে মৌখিক আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

সিঙ্গাপুরে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যসহ সাইপ্রাস ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে অনেক সম্পত্তি থাকার কথা দ্য ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমতি না নিয়েই বিদেশে এই সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত ১৭ কোম্পানিকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে এবং সেই তালিকায় এস আলমের নাম নেই।

'এস আলমের আলাদিনের চেরাগ' শিরোনামে গত ৪ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টারে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ৬ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেন। আদেশে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ ব্যাপারে সহায়তা করতে বলা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন উপস্থাপন করলে এই আদেশ আসে।

আজ রোববার এস আলম গ্রুপের আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর বেঞ্চে মৌখিকভাবে আবেদন করেন। জবাবে আদালত বলেন, আদেশ ইতিমধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে তাই এটি প্রত্যাহার করার সুযোগ নেই।

এ সময় বিচারকক্ষে উপস্থিত ছিলেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তিনি ডেইলি স্টারকে হাইকোর্টের মৌখিক আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যোগাযোগ করা হলে, এস আলম গ্রুপের আরেক আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আদেশ ইতোমধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়ায় ৬ আগস্টের স্বতঃপ্রণোদিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে লিখিত আবেদন করা হবে।

ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

6h ago