এস আলম ও পরিবারের ২২৭ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ

মোহাম্মদ সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ অর্থ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের ২২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রোববার দুদকের উপপরিচালক তাহসিন মুনাবিল হকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান।

আবেদনে তাহসিন বলেন, অভিযোগ অনুসন্ধানে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ২২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আট হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার ৭১১ টাকা পাওয়া গেছে।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, 'এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই অর্থ অ্যাকাউন্ট থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছিলেন। তা করলে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত ব্যাহত হতে পারে। সুতরাং ওই অর্থ স্থানান্তর করা থেকে বিরত রাখতে একটি আদেশ প্রয়োজন।'

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একই আদালত সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে এস আলম ও তার পরিবারের মালিকানাধীন ৪২টি কোম্পানির ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ শেয়ার জব্দ করতে দুদককে নির্দেশ দেন।

তারও আগে গত ৩০ জানুয়ারি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৩৬৮ কোটি টাকা মূল্যের ৫৮ একর স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।

গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ২৪টি কোম্পানির ৩২ কোটি ১০ লাখের বেশি শেয়ার জব্দের আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই শেয়ারের বাজারমূল্য ৩৫০ কোটি টাকা।

১৪ জানুয়ারি একই আদালত এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন ও তার পরিবারের ১৬ সদস্যের ২০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ৮৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দেন।

এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন ও তার পরিবারের ১১ সদস্যের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত।

আবেদনে দুদকের কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের ৪ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় 'এস আলম'স আলাদিন'স ল্যাম্প' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে ১০০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

No sharp rise in crime, data shows stability: govt

The interim government today said that available data does not fully support claims of a sharp rise in crimes across Bangladesh this year

2h ago